সুস্থ থাকতে সুষম আহার জরুরি। এই জন্য অনেকেই কাঁচা স্প্রাউট খান। জলখাবার হিসেবে এই খাবার সত্যিই স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা স্প্রাউটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিক এবং ভিটামিন সি রয়েছে। পাশাপাশি এতে ক্যালোরির পরিমাণও অনেক কম। তাই কাঁচা স্প্রাউটকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বললেও ভুল হবে না। তাছাড়া এই খাবারের গুণাগুণ অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্প্রাউটে হজমে সাহায্য করে, পাশাপাশি রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। কিন্তু নিয়মিত স্প্রাউট খাওয়া কি উচিত? কিংবা সবার জন্য কি একই ভাবে উপকারী এই খাবার? এই প্রসঙ্গে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বর্য সন্তোষ।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বর্য সন্তোষ সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে অঙ্কুরিত খাবার নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে স্প্রাউট খেলে বেড়ে যেতে পারে শারীরিক সমস্যা। চলুন জেনে নেওয়া যাক…
অঙ্কুরিত খাবার খেলে বেড়ে যেতে পারে বাতের সমস্যা। আসলে কাঁচা স্প্রাউট স্বাদে কষা। আয়ুর্বেদের মতে, অঙ্কুরিত খাবারের স্বাদ শরীরে ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। শরীরে যখন ভাতার পরিমাণ স্বাভাবিকের বেড়ে যায়, তখন গাঁটে ব্যথা, বাতের ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই প্রথম থেকেই যদি আপনার এই ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে স্প্রাউট এড়িয়ে চলুন।
স্প্রাউট মূলত কয়েক ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হয়। এতে ভারী হয়ে যায়। এর কারণে হজমেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। যাদের হজম ক্ষমতা দুর্বল তাদের এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এতে পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তবে অল্প পরিমাণে স্প্রাউট খেলে এই ধরনের সমস্যা সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। তবে চেষ্টা করুন এই ধরনের খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়ার।
সবাই যে স্প্রাউট খেতে পারেন তা-ও নয়। শিশুদের এই ধরনের খাবার না খাওয়াই ভাল। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। একই ভাবে গর্ভবতী মহিলাদেরও এই ধরনের খাবার না খাওয়াই ভাল। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা এই খাবারটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। আর যদি খান, তাহলে সীমিত পরিমাণ স্প্রাউট খান। এতে যে কোনও রোগের ঝুঁকি কম।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।