রাতের খাবার দিনের শেষ খাবার। সকাল থেকে লেবু মধুর জল বা যে ইষদুষ্ণ জলে দিন শুরু হয় তার ইতি এখানেই। যে কারণে রাতে হালকা খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শরীরও যাতে হালকা থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়। কারণ রাতে ভারী খাবার খেলে যেমন হজমের সমস্যা হয় তেমনই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তাই ব্রেকফাস্ট যত ভারী হবে তেমনই ডিনার হবে ততটাই হালকা। ব্রেকফাস্টে মন ভরে খাবার খান। তেমনই রাতের খাবার হোক সাধারণ এবং শৌখিন। যত বেশি রাত হয় ততই পরিপাক তন্ত্র হজমে অক্ষম হয়ে যায়। ভারী যে কোনও খাবার হজম করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। ফলে পেট খারাপ, গ্যাস-বদহজম, পেটের নানা সমস্যা এসব লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে যত রাত করে খাবার খাওয়া হয় ততই শরীরে ক্লান্তি আসে।
তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রেখা রাধামণি দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ। অনেকেই রাতের খাবার পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে খান। আবার অধিকাংশ পার্টি, নিমন্ত্রণ এসব থাকে রাতেই। তাই রাতের মেনু সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন করা উচিত। কারণ ডিনারে ভুল মেন্যু থাকলে স্বাস্থ্যের উপরেই তার প্রভাব পড়ে। তাই দেখুন রাতে কী খাবেন আর কী এড়িয়ে চলবেন।
রাতে গম বা গম থেকে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে আয়ুর্বেদ। অধিকাংশ বাড়িতেই রাতে রুটি খাওয়ার অভ্যাস। অনেকে আবার নান, পুরি, পরোটা এসবও খান। কিন্তু রাতে গম জাতীয় খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়। গ্যাস হতে পারে। যাঁদের চটকরে পেটখারাপ হয়ে যায়, আমাশয়ের ধাত রয়েছে তাঁদের কিন্তু একেবারেই গম খাওয়া ঠিক নয়।
ময়দার তৈরি খাবারও পারলে এড়িয়ে চলুন। কারণ ময়দার থেকে তৈরি খাবার হজম হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। ময়দাও ভারী। ময়দার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা হজমে বাধা সৃষ্টি করে। যে কারণে কেক, লুচি এসব খাবার রাতে খেলে সমস্যা অনেক বেশি হয়।
রাতে মিষ্টি একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। এটা ঠিক যে মিষ্টির লোভ রাতেই বেশি হয়। এমন অনেকে আছেন যাঁরা নিয়ম করে রাতে শেষ পাতে মিষ্টি খান। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য চূড়ান্ত খারাপ। তাই রাতে চকোলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম খাবেন না। এতে শরীরে শ্লেষ্মার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা স্যালাড একেবারেই খাবেন না। বিশেষ করে ঠাণ্ডা স্যালাড রাতে একেবারেই চলবে না। এতে শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়। পরিবর্তে সবজি সিদ্ধ করে খান। রোজ রাতে একবাটি সবজির স্যুপ বা সবজি সেদ্ধ করে খান। এতে শরীরের অনেক বেশি উপকার হয়। রাতে পরিপাক ক্ষমতা কমে যায়। যে কোনও খাবারই হজম হতে বেশি সময় লাগে। শরীরে টক্সিন জমা হয়। যে কারণে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, বিভিন্ন চর্মরোগ, অন্ত্রের রোগ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এসব দেখা যায়।