শীতে এলেই শরীরের উপরও অনিয়ম শুরু হয়ে যায়। একের পর এক বিয়ের বাড়ি, পার্টি, উৎসবের মেজাজের শরীরের খেয়াল রাখা হয় না। প্রায় প্রতিদিনই বাইরে খাওয়া হয়। আর এই অনিয়মই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া শীতের দিনে চা, কফি পানের পরিমাণও বেড়ে যায়। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু সমস্যা হল, শীতে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন।
শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করার টিপস শেয়ার করেছে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার। দীক্ষা তাঁর ইনস্টাগ্রামে সেই সব কারণগুলো উল্লেখ করেছেন যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। সঠিকভাবে খাবার না খাওয়া, অত্যধিক পরিমাণ ভাজাভুজি, মশলাদার এবং ঠান্ডা খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান না করা, ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া, দুর্বল মেটাবলিজম, অনিদ্রা, গভীর রাতে ডিনার করা এবং অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলকে দীক্ষা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন। এমন নয় যে আপনি এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন না। দীক্ষা তাঁর ইনস্টাগ্রামে এমন পাঁচটি খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। সেগুলো কী-কী চলুন দেখে নেওয়া যাক…
খেজুর- ভাতা ও পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে খেজুর। এই ফল মিষ্টি ও ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য, হাইপারঅ্যাসিডিটি, গাঁটের ব্যথা, অ্যানজাইটি, চুল পড়া এবং ক্লান্তিতে ভোগেন, তাঁদের জন্য সেরা খেজুর। প্রতিদিন সকালে ২-৩টে খেজুর গরম জলে ভিজিয়ে খালি পেটে খান।
মেথি- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় মেথি দারুণ উপযোগী। এক চামচ মেথি আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। এছাড়াও ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জলে মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
গরুর দুধে তৈরি ঘি- গরুর দুধে তৈরি ঘি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ঘিয়ের মধ্যে স্বাস্থ্য ফ্যাট এবং এ, ডি, ই এবং কে-এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে। এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে দূর হবে।
আমলকি- ওজন কমানো থেকে শুরু করে চুলের সমস্যা সব কিছু দূর হবে আমলকির গুণে। শীতের মরশুমে সহজেই বাজারে আমলকি পেয়ে যাবেন। সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও ১ চামচ আমলকির গুঁড়ো কিংবা ৩টে তাজা আমলকির রস খেতে পারেন।
ভেজানো কিশমিশ- কালো কিশমিশ সারারাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এটা খান। কালো কিশমিশের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি মলত্যাগে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কিশমিশ একটি অপরিহার্য খাবার।