গরম না পসন্দ হলেও, গ্রীষ্মকালীন ফলের প্রতি ভালবাসা বাঙালির চিরকালে। আম, জাম, লিচু, তরমুজের মতো ফলের দেখা যে মেলে এই সময়ে। তার সঙ্গেও দেখা মেলে আরও একটা লোভনীয় ফলের। তালশাঁস। মে মাসের শেষ কয়েক সপ্তাহজুড়ে বাজারে ঢেলে বিক্রি হয় তালশাঁসের। এই রসালোর ফল খেলে যেমন সুস্বাদু হয়, তেমনই এর উপকারিতাও অনেক। বিশেষজ্ঞেরা বলেন, তালশাঁস হল সুপারফুড। এই গরমে যদি তালশাঁস খাওয়া যায়, তাহলে শরীর পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ তালশাঁস।
তালশাঁসের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এসব পুষ্টি মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে। এতে যেমন আপনার হজম ক্ষমতা উন্নত হয়, তেমনই ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কারণ এই ফলের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। পাশাপাশি গরমে এই ফল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তাজা তালশাঁস খাওয়ার মজার বেশি। আপনি চাইলে এই গরমে বানিয়ে নিতে পারেন তালশাঁসের তৈরি ৩ পানীয়। রইল সহজ রেসিপি।
তালশাঁসের লস্যি
১টি কচি তালশাঁস নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিন। এবার ১০০ গ্রাম দই, ২ কাপ ঘন দুধয়ের সঙ্গে তালশাঁসের কুচিগুলো পেস্ট করে নিন। এবার এতে ২ চামচ চিনি ও বরফের কুচি মিশিয়ে দিন। তৈরি তালশাঁসের লস্যি। গরমে এই পানীয় আপনাকে তরতাজা অনুভব করে দেবে।
তালশাঁসের শরবত
গরমে আপনাকে তরতাজা অনুভব করাবে তালশাঁসের শরবত। কচি তালশাঁস কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে কুচি কুচি করে কেটে নিন। এবার কয়েকটা লিচুও খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে নিন। এবার তালশাঁস ও লিচু মিক্সিতে দিয়ে পেস্ট করে নিন। এবার ডাবের জলের সঙ্গে এই লিচু ও তালশাঁসের পেস্ট মিশিয়ে নিন। এতে লেবুর রস ও বরফের কুচি মিশিয়ে পান করুন তালশাঁসের শরবত।
তালশাঁসের মিল্কশেক
কয়েকটা কচি তালশাঁস জলে ডুবিয়ে রেখে কুচি করে নিন। এবার দুধের সঙ্গে মিক্সিতে তালশাঁস ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এতে অল্প চিনি ও বরফ কুচি দিয়ে পান করুন তালশাঁসের মিল্কশেক।