কথায় বলে, তিরিশ পেরোলেই নাকি মেয়েরা ( Women in 30’s) বুড়ি। তবে এই সব প্রবাদ বাক্যকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে মেয়েরা এখন তিরিশের পরই কিন্তু শুরু করছে জীবনের ( Lifestyle) দ্বিতীয় ইনিংস। এমনকী কেরিয়ারের সেরা চাকরিটাও পাচ্ছে এই তিরিশে এসেই। সেই সঙ্গে পড়াশোনা, পছন্দের কাজ, নিজের উদ্যোগে কিছু করা এসব তো আছেই। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে মানসিকতাতেও। তবে এই তিরিশের পর থেকেই মেয়েদের বেশ কিছু শারীরিক ( Women health)সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
তার প্রধান হল শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব। এছাড়াও মানসিক চাপও কিন্তু বাড়তে শুরু করে এই বয়স থেকেই। আজকাল সকলেরই মানসিক চাপ বড়ই বেশি। মনের উপর চাপ পড়লেই কিন্তু সেই প্রভাব গিয়ে পড়ে ত্বকে ও চুলে। আর তাই অনেক সময় ত্বক রুক্ষ ও শুকনো হয়ে যায়। এছাড়াও ক্যালশিয়ামের অভাব হয় বলে চুল গোড়া থেকে ভেঙে যায়। যে কারণে কিন্তু শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা যায়।
তাই এই সময় প্রোটিন, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। সারাদিনে বেশি পরিমাণ জল খেতে হবে, যাতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে। তিরিশের পরও নিজের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর দাগ-ছোপহীন ত্বকের জন্য কিন্তু এই কয়েকটি ডাল রাখতে পারেন ডায়েটে।
মুসুর ডাল- মুসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এছাড়াও শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিনের যোগান দেয় মুসুর ডাল। তবে মুসুর ডালের পাশাপাশি কিন্তু মাছও খেতে হবে। তবেই শরীর পাবে পর্যাপ্ত ভিটামিন। শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলেই তখন চুল ঝরে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের পাশাপাশি শরীরে রোদ লাগানোও প্রয়োজন।
ছোলার ডাল- লুচির সঙ্গে ছোলার ডাল অনেকেরই প্রিয়। আর এই ছোলার ডাল কিন্তু শরীরের জন্যেও খুব ভাল। আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে এই ডাল। এছাড়াও ছোলার ডালে রয়েছে ভিটামিন ই, প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই ডাল খান।
রাজমা- রাজমার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফোলিক অ্যাসিড। সেই সঙ্গে রাজমা প্রোটিনে ভরপুর। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে রাজমা। গরমকালে এই ডাল বেশি খেতে পারলে কিন্তু ভাল। এতে ত্বক, চুল দুই ভাল থাকে। ১০০ গ্রাম রাজমার মধ্যে প্রোটিন ২৪ গ্রাম আর ক্যালোরি ৩৪ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট ৫৬ গ্রাম এবং চর্বি মোটে ১ গ্রাম। আর তাই এই ডাল কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
কাবুলি ছোলা- যাঁদের গ্যাস বা হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু এই কাবুলি ছোলা এড়িয়ে চলা উচিত। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে খেতে বেশ ভাল লাগে এই চানা। আর তাই সপ্তাহে এক থেকে দুবার অবশ্যই খাবেন এই ছোলা। এছাড়াও এই ছোলা সিদ্ধ করে স্যালাড বানিয়েও খেতে পারেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।