কলকাতার মেয়ে, প্রথম লাইমে লাইটে আসা একটি জনপ্রিয় সৌন্দর্য ( Beauty) প্রতিযোগিতা দিয়েই। এরপর শহরে টুকটাক কাজের পর তিনি সোজা পাড়ি দেন মুম্বইতে ( Mumbai)। ব্যাস এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক হিট ছবি, দামি ব্র্যান্ডের মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট সব মিলিয়ে একের পর এক কাজ করে গিয়েছিন তিনি। তিনি বিপাশা বসু ( Bipasha Basu)। বলিউডে তাঁর ফিটনেস রীতিমতো চর্চার বিষয়।
বাংলার এই মেয়েকে মুম্বইতে প্রথম দিকে হতে হয়েছিল বর্ণ বিদ্বেষের শিকার। শ্যামবর্ণের জন্য অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর। এমনকী ডাকও পেতেন না। তবে পরবর্তীতে এসব কারণই তুচ্ছ হয়ে যায়। নিজ গুণে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে। ফিট থাকতে সারা বছরই নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করেন তিনি। সেই সঙ্গে থাকেন কঠোর ডায়েটেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিপাশা জানান, তিনি তাঁর দিন শুরু করেন স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট দিয়েই। তবে মিষ্টি খেতে ভালবাসেন বিপাশা। ফলে ডায়েট করলেও কিন্তু মিষ্টি মোটেই বাদ পড়ে না তালিকা থেকে।
দেখে নিন বিপাশার ফিটনেস সিক্রেট
বিপসের ব্রেকফাস্ট
এক গ্লাস লেবু জল দিয়ে দিন শুরু হয় বিপাশার। এরপর তিনি খান সারারাত ভিজিয়ে রাখা বাদাম, মুগ, ছোলা, মটর। তাঁর প্রাতঃরাশের মধ্যে রয়েছে এক কাপ চা। এর সঙ্গে তিনি নিয়মিত সকালের ব্রেকফাস্টে রাখেন ৬টি ডিমের সাদা অংশ, তাজা ফল ,ওটস। কোনও দিন এরসঙ্গে থাকে স্কিমড মিল্ক আর টোস্ট। বিপাশার কঠোর ডায়েটে জাঙ্ক ফুড নেই বলেই তিনি উল্লেখ করেছেন।
ওয়ার্কআউট
৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী এই বয়সেও নিজেকে ঠিক রাখতে নিয়মিত যোগ অনুশীলন করেন। এছাড়াও ওজন, কার্ডিও, অ্যারোবিক্সের মতো ওয়ার্কআউটগুলিও তাঁর ফিটনেস রুটিনে রয়েছে। বিপাশা প্রায়শই ইনস্টাগ্রামে তার ওয়ার্কআউট ভিডিয়োগুলি পোস্ট করেন, যা তাঁর অনুগামীদের অনুপ্রাণিত করে। শুধু তাই নয়, বিপাশাকে বহুবার ট্রেডমিল, সাইক্লিং এবং ক্রস ট্রেনিং করতেও দেখা গিয়েছে। তিনি সপ্তাহে ৬ দিন ব্যায়াম করেন এবং প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করেন। এটাই তাঁর টোনড ফিগারের একমাত্র রহস্য।
বিপাশার লাঞ্চ
সকালের জলখাবারের (Healthy Breakfast)পর, বিপাশা গ্রিলড ফিশ, স্যালাড, সয়া রুটি, মসুর ডালের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পছন্দ করেন। তবে তাঁর সব খাবারই রান্না করা হয় অলিভ অয়েলে। আমাদের সকলের মতোই বাংলার মেয়ে বিপাশাও মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। রসগোল্লা তাঁর খুব প্রিয়। তবুও তিনি অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলেন। খাবার খাওয়ার পর অল্প মিষ্টি তিনি খান, তবে তাও খুবই নিয়ন্ত্রিত।
নিয়ম করে ঘুম
সুস্থ থাকতে রাতে নিয়ম করে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমোন তিনি। যতই ব্যস্ততা থাক না কেন, ঘুমের সময় তিনি কোনও ভঙাবোই কমান না। সেই সঙ্গে ডায়েট আর শরীরচর্চা তো আছেই। বিপাশার মতে সুস্থ থাকা যায় তখনই যখন নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলা যায়। এছাড়াও সংযত জীবনযাপন জরুরি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।