যতই চিকিৎসকেরা পরিমিত মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিক না কেন, পাতে মাংস পড়লে লোভ সামলে রাখতে পারেন না মাংসাশীরা। ছোট থেকে বড়- প্রিয় খাবারের তালিকায় প্রথমেই থাকে মাংস। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও বাড়িতে রোজ মাংস খাওয়া ছিল একরকম বিলাসিতা। বর্তমানে মাংস এখন ‘রোজকার’ খাবার। ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ডিনারে। চিকেন স্যান্ডউইচ, মোমো, ম্যাগি, চাউমিন, মাটন চপ, মাটন চাঁপ, মাটন বিরিয়ানি থেকে মাটন কষা- সবেতেই এখন মাংসের ছড়াছড়ি। যে কোনও বাড়িতেই যত পরিমাণ সবজি আসে তার থেকে বেশি আসে চিকেন বা মাটন। এদিকে পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক… রোজ সবাই বলছেন পরিমিত মাংস খেতে। মাটন একেবারেই নয়। উইকএন্ডে কি আর মন এত কথা শোনে! তাই সাত পাঁচ না ভেবে বানিয়ে নিন চম্পারণ মটন বা হাণ্ডি মটন। ইদানিং কালে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ জনপ্রিয় এই দুই পদ। বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন আপনি।
চম্পারণ মটনের নামটি বিহারের চম্পারণ জেলা থেকেই এসেছে। এই পদটি ‘আহুনা মটন’, ‘মটকা গোস্ত’ ও ‘চম্পারণ মটন হান্ডি’ নামেও বিখ্যাত। ঐতিহ্যগত ভাবে মাটির হাঁড়িতেই বানানো হয় এই মাটন। মূলত দম পদ্ধতিতেই রান্না হয় এই মাটনের পদ। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন
উপকরণ
মাটন- ১ কেজি
মাঝারি মাপের পেঁয়াজ- ৬-৭ টা
রসুনের পেস্ট- ৩-৪ চামচ
আদার পেস্ট- ৩ চামচ
কাজু-কিশমিশ বাটা- ২৫ গ্রাম
রসুনের কোয়া- ৬-৭ কোয়া
ঘি- ৫০ মিলিগ্রাম
টকদই- ১০০ গ্রাম
জিরে বাটা- ১ চামচ
কাঁচা লঙ্কা- ৫ টা
লঙ্কাগুঁড়ো- ২ চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ২ চামচ
তেজপাতা- ৩ টে
দারুচিনি- ১ টা
ছোট এলাচ- ৫টা
সরষের তেল
যে ভাবে বানাবেন
মাটন ভাল করে ধুয়ে নিয়ে জল ঝারিয়ে নিন। কড়াইতে সরষের তেল আর ঘি গরম করে পেঁয়াজ ভেজে তুলে রাখুন। বাকি উপকরণ একসঙ্গে মাটনের সঙ্গে মাখিয়ে রেখে দিন ৪০ মিনিট। এবার মাটির হাঁড়ি উনুনে বসিয়ে ওর মধ্যে ২ চামচ সরষের তেল গরম করুন, এর মধ্যে ম্যারিনেট করা মাংসটি ঢেলে দিন। সামান্য নাড়াচাড়া করে ভাজা পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ ভাজার পর যে অতিরিক্ত তেল আর ঘি ছিল তা ছড়িয়ে দিন। হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে আটা দিয়ে বন্ধ করে দিন। এবার ২ ঘন্টা আঁচে বসিয়ে দেখে নিন যে মাংস সিদ্ধ হয়েছে কিনা। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন, গরম গরম পরিবেশ করুন ভাতের সঙ্গে। বা রুটির সঙ্গেও খেতে পারেন। নামানোর আগে সামান্য সরষের তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন।