Date Juice Benefits: ঘুমিয়েও কাটছে না ক্লান্তি? রোজ সকালে একগ্লাস খেজুরের রসেই শুরু হোক দিন
Winter Food: খেজুরের রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ফলে রক্তাল্পতা দূর করতেও ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। তবে অ্যানিমিয়ার সমস্যা থাকলে প্রতিদিন এক টুকরো পাটালি গুড় বা ঝোলা গুড় খেলে খুব ভাল কাজ হয়

কিছু এমন জিনিস থাকে যার স্বাদ শীত ছাড়া পাওয়া যায় না। নতুন গুড়, পায়েস, পিঠে, খেজুর গুড়, নবান্নের স্বাদ পাওয়া যায় বছরের মাত্র একটা সময়েই। শীতের সকালে আরও একটি জিনিস মন কাড়ে, তা হল খেজুরের রস। টাটকা খেজুরের রসের মজাটাই আলাদা। খেজিরের রসে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। থাকে বিভিন্ন রকম প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিন, আয়রন, ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজ, সোডিয়াম আর পটাশিয়াম। যে কারণে নিয়মিত ভাবে খেজুরের রস খেতে পারলে তা শরীরের জন্য খুব ভাল। শীতের দিনে শরীরে ক্লান্তি ভাব একটু বেশি থাকে। এছাড়াও সর্দি, কাশি, পেটের সমস্যা এবং নানা সংক্রমণজনিত সমস্যার কারণে শরীরও একটু কমজোরি থাকে। আর সেক্ষেত্রে খুব কাজে আসে এই খেজুরের রস।
খেজুরের রস হল প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক। খেজুরের রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা, সেই সঙ্গে রয়েছে জলও। ফলে একগ্লাস রস খেলে যেমন শরীরে জলের চাহিদা পূরণ হয় তেমনই শরীরে খনিজের মধ্যেও ভারসাম্য বজায় থাকে। একই সঙ্গে খেজুরের রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম। যা শরীরের ক্লান্তি দূর করে। খেজুর রস শরীর আর মনও চনমনে রাখে।
খেজুরের রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ফলে রক্তাল্পতা দূর করতেও ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। তবে অ্যানিমিয়ার সমস্যা থাকলে প্রতিদিন এক টুকরো পাটালি গুড় বা ঝোলা গুড় খেলে খুব ভাল কাজ হয়। খেজুরের রস কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। শীতের দিনে সর্দি-কাশি সারাতে, এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে খেজুরের রসের জুড়ি মেলা ভার। খেজুরের রসের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। খেজুরের রসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। যা বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়। যার ফলে শরীরে বাড়তি চর্বিও জমে না।
খেজুর রসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়। মল নরম হয়। শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রুখতেও খুব ভাল কাজ করে খেজুরের রস। একই সঙ্গে খাবার দ্রুত হজম করতেও সাহায্য করে এই খেজুরের রস। খেজুরের রস কখনই কিন্তু কাঁচা খাবেন না। কারণ কাঁচা রসে পোকামাকড় থাকতে পারে। আর তাই খেজুরের রস ভাল করে জ্বাল দিয়ে তবেই খাবেন।
