Dates Benefits: রমজানে সুপারহিট এই ফল, রোজ খেলে শরীর ছুটবে দুরন্ত গতিতে
Dates In Ramadan: আর খেজুর থেকে সারাদিনের কাজ করার প্রচুর এনার্জিও পাওয়া যায়। এই কারণেই যাঁরা রোজা রাখেন তাঁরা উপবাস ভাঙেন এই খেজুরেই
মধ্যপ্রাচ্যের এই ফলের জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বজুড়ে। স্বাদ এবং উপকারিতার নিরিখে এই ফলকে সুপারফুডের আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বজুড়েই এখন খেজুর পাওয়া যায়। আর এর মিষ্টি স্বাদের জন্য স্মুদি থেকে লাড্ডু সবেতেই দিব্যি মিশিয়ে নেওয়া যায়। রোজ রাতে গরম দুধে দুটো খেজুর ফেলে খান। এতে দৃষ্টিশক্তি বাড়বে। একই সঙ্গে খেজুর শরীরে আয়রনের চাহিদাও পূরণ করে। ওটসের স্মুদিতেও খেজুর মিশিয়ে খেলে ভাল লাগে। আবার খেজুর দিয়ে ক্ষীর বানানো যায়। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে অথচ মিষ্টি খেতে পারেন না তাঁরা যদি খেজুর, বিভিন্ন বীজ, বাদাম মিশিয়ে লাড্ডু বানিয়ে নিতে পারেন তাহলেও কিন্তু তা শরীরের জন্য খুব ভাল।
মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে খেজুর। সেই সঙ্গে ত্বকে বাড়তি গ্লো যোগ করতেও কিন্তু খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। আর খেজুর থেকে সারাদিনের কাজ করার প্রচুর এনার্জিও পাওয়া যায়। এই কারণেই যাঁরা রোজা রাখেন তাঁরা উপবাস ভাঙেন এই খেজুরেই। মুখে খেজুর দেওয়ার পর তবেই অন্য কোনও খাবার খান। এছাড়াও খেজুরের আরও যা কিছু উপকারিতা রয়েছে-
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতেও কাজে আসে খেজুর। খেজুরের মধ্যে থাকে ফ্ল্যাভিনয়েড। যা বিভিন্ন প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষ দীর্ঘদিন সুস্থ থাকে এবং ঠিকমতো কাজ করে। স্মৃতিশক্তিও তুলনায় ঠিক থাকে।
ওজন কমাতে, কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতেও কাজে লাগানো যায় খেজুরকে। কারণ খেজুরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাদের আইবিএসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যেও কিন্তু খুব উপকারী হল খেজুর।
খেজুরে থাকে ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম-সহ একাধিক খনিজ। যা হাড়ের পুষ্টি যোগায়। হাড়কে মজবুত রাখে এবং অস্টিওপোরোসিসের হাত থেকে হাড়কে রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও কাজে আসে খেজুর। খেজুরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে ফ্ল্যাভিনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড। যা ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে। বেশ কিছু গবেষণাতে একরকমও বলা হয়েছে যে গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহে যদি খেজুর খাওয়া যায় তাহলে প্রসবের সময় সুবিধে হয়। খেজুরে উপস্থিত কিছু যৌগই এই পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করে।