শীত আসলেই আলস্য ঘিরে ধরে আমাদের। লেপের তলা থেকে কোনও ভাবেই বেরিয়ে আসতে ইচ্ছে করে না। শীতে বেলা ছোট, ফলে কাজ করার সময়ও কমে যায়। ওয়ার্ক আউট কম হয়, এদিকে খাওয়া-দাওয়া বেশি হয়। ফলে হজমের সমস্যাও রয়ে যায়। এদিকে যাবতীয় পার্টি, পিকনিক এই শীতেই লেগে থাকে। ফলে শীতে ওজন কমানোটা একটা চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও এই সময় শরীরে জলের ভাগ বেড়ে যায়। ওয়াটার বডির একটা ওজন থাকেই। খাওয়া বেশি কিন্তু ক্যালোরি ঝরানোর কোনও ব্যবস্থা নেই- এখান থেকেই আসে যাবতীয় সমস্যা। এই দুই একসঙ্গে হলে ওজন ঠেকিয়ে রাখে কার সাধ্যি। তাই তায়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার দিলেন বিশেষ পরামর্শ।
যা ঠাণ্ডায় ওজন কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। শীতের দিনে সব বাড়িতেই মধু খাওয়ার চল বাড়ে। মধুর আছে হাজারো উপকারিতা। মধুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। ফ্যাট একেবারেই নেই। যে কারণে কফ, কাশি সারাতে, ওজন কমাতে দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে, হার্ট ভাল রাখতে, বমি বমি ভাব দূর করতে এবং প্রাকৃতিক ভাবে ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে মধু। যে কোনও গভীর ক্ষত নিরাময়ে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও ভূমিকা রয়েছে মধুর।
মধু মেদ ঝরাতে পারে কিনা এই নিয়ে একাধিক বিতর্ক রয়েছে। তবে রোজ নিয়ম করে ইষদুষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেলে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়। ওজন কমে। কম সর্দির সমস্যা দূরে থাকে। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম বাড়ে। মেটাবলিজম বাড়লে ওজন আরও তাড়াতাড়ি কমে। এছাড়াও ওটস, দুধ, চিয়া সিডস, মধু, আমন্ড মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেলেও ওজন কমে। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন এক চামচ মধু।
তবে মধু খাওয়ার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। গরম কোনও খাবারের সঙ্গে মধু নয়। ঘি, গরম জল বা গরম দুধ, মশলাদার খাবার, অ্যালকোহল, সরষের তেলের সঙ্গে মধু খেলেই শরীরে অন্য প্রভাব পড়বে। তাই সাবধান।
মধু খেলে সঙ্গে অন্য কোনোও রকম মিষ্টি বা শর্করাও কিন্তু খাওয়া চলবে না।