প্রেম করা যতটাই সহজ বিয়ের প্ল্যানিং কিন্তু ততটাই কঠিন। বিয়ে মানে শুধুই যে দুটো মনের মিলন তা নয়, দুটো পরিবারের মধ্যেও তৈরি হয় একটা যোগাযোগ। সেক্ষেত্রে দুই পরিবারের মধ্যেএকটা সুন্দর বন্ধন তৈরি হওয়াটাও কিন্তু খুবই জরুরি। এছাড়াও বিয়ের আয়োজন মানেই মস্ত বড় ব্যাপার। কেনাকাটা শেষ হতেই চায় না। সেই সঙ্গে কোন দিন কী অনুষ্ঠান হবে, কোন দিন কোন পোশাক পরা হবে এই নিয়ে প্ল্যানিং চলতেই থাকে বছরভর। বিয়ের অনুষ্ঠান আজকাল বেশ লম্বা। মেহেন্দি, সংগীত, আইবুড়োভাত, ব্যাচেলার্স পার্টি লম্বা লিস্ট। বিয়েতে ফটোগ্রাফির ভূমিকাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বিশেষ দিনে নিজেকে সুন্দর দেখাক, তা কে আর না চায়। সেই জন্যই কিন্তু প্রথম থেকে ডায়েট, শরীরচর্চা জরুরি। বিয়ের আগে কিছুটা ওজন ঝরালে দেখতেও ভাল লাগে, নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে ভরপুর আর ছবিও বেশ ভাল আসে। গরমে কিন্তু ওজন কমানো তুলনায় সহজ। দেখে নিন ওজন ঝরাতে ঠিক কী কী অভ্যাস আপনার জন্য জরুরি।
সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ জল খান- সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে জল খেতেই হবে। জল আমাদের যেমন হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে তেমনই কিন্তু শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। আর জল বেশি খেলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটাও চলে যায়। এতে কিন্তু ত্বকও ভাল থাকে। এছাড়াও গরমে বেলের পানা, আমের শরবত, ডাবের জল এসব খেতে পারলেও কিন্তু বেশ ভাল।
চিনি কম খান- চিনি আর নুন কিন্তু কম খেতেই হবে। নুন বা চিনি বেশি খেলেই কিন্তু ক্যালোরি বাড়ে। সঙ্গে থাকে ওবেটিসির সম্ভাবনাও। এবার বিয়ের আগে এবং পরে খাওয়া দাওয়া লেগেই থাকে। আর তাই আগে থেকেই কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে।
সময়ে ঘুম- শরীরের প্রয়োজনে ঘুম খুব জরুরি। আর তাই চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমনোর। দিনের মধ্যে ৭ ঘন্টা ঘুম খুবই জরুরি। নইলে হরমোন ঠিক মতো কাজ করে না, বিপাক ক্রিয়া কমে যায়। এছাড়াও ঘুম কম হলে ডার্ক সার্কল বাড়বে। থাকবে ক্লান্তিও।
ফল-সবজি খান- রোজকার ডায়েটে ফল আর সবজি কিন্তু অবশ্যই বেশি করে রাখবেন। ফল আর সবজির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি, আছে ফাইবার, প্রোটিন, খনিজ। আর ফল, সবজি খেলে উল্টো পাল্টা খাবার খাওয়ার পরিমাণও কিন্তু কমে।
সময়ে খাবার খান- খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই কিন্তু সময় ধরে খাবেন। চেষ্টা করবেন বাড়ির খাবার খেতে। বিকেলের দিকে খিদে পেলে সবারই উলটো পালটা খাবার খেতে ইচ্ছে করে। এই সময়টা একবাটি ফল খান। সবদিক থেকে ভাল।