Almond Benefits: ওষুধ নয়, আমন্ড-ই কমায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও সুগার! কখন খাবেন জেনে নিন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jan 25, 2022 | 8:15 PM

রোজ নিয়ম মেনে আমন্ড খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার। কমবে কোলেস্টেরলও

Almond Benefits: ওষুধ নয়, আমন্ড-ই কমায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও সুগার! কখন খাবেন জেনে নিন...
সুগার নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী আমন্ড

Follow Us

আমন্ড ( Almond) যে শরীরের জন্য উপকারী তা সকলেই জানেন। সুস্বাস্থ্যের ( Health) খাতিরে প্রতিদিন আমন্ড খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। আমন্ডের মধ্যে রয়েছে যাবতীয় পুষ্টি। রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম। আছে একাধিক ভিটামিন। বাদাম কিন্তু হার্টকে ( Heart)  সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হজম শক্তি বাড়ায়, একাগ্রতা বাড়ায়- এছাড়াও কিন্তু একাধিক উপকারিতা রয়েছে আমন্ডের। আমন্ড খেলে ডায়াবিটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাই রোজ সকালে ভেজানো আমন্ড খেতে পারেন। এছাড়াও আমন্ড বাদাম দিয়ে বিভিন্ন ডেজার্ট, মিষ্টি এবং স্মুদিও কিন্তু বানানো যেতে পারে। এমন অনেকেই কিন্তু আছেন, যাঁদের দুধ খেতে সমস্যা থাকে তাঁরাও কিন্তু খেতে পারেন আমন্ড দুধ।

বেশিরভাগই আমন্ড খান সকাল বেলা। আবার কেউ খান বিকেলে। তবে পুষ্টিবিদরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে দুপুরে খাবার খাওয়ার আগে আমন্ড খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল।  লাঞ্চের ঠিক ২ ঘন্টা আগে ১০ টা ( ৫৬ গ্রাম) আমন্ড খান। এতে যেমন কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে তেমনই কমবে সুগারও। সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও কিন্তু সাহায্য করে এই আমন্ড।

তবে জল ভিজিয়ে নন, আমন্ড বাদাম চিবিয়ে খান। এতে যেমন খেতে সময় লাগে তেমনই কিন্তু বাদামের ২৫ শতাংশ ফ্যাট শরীরের কোশে আটকে যায়। যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যায় না। আর বাদাম খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে ওজন কমে তাড়াতাড়ি। সকালে লিকার চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের বদলে খান একমুঠো আমন্ড। তবে একমুঠোতে সর্বোচ্চ ১০ টা আমন্ড রাখতে পারেন। আমন্ডের মধ্যে থাকা ভিটামি ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে যে অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে তার জন্য শরীর অতিরিক্ত ফ্যাট শোষণ করতে পারে না। যে কারণে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়মিত বাদাম খান তাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কিন্তু তুলনায় অনেকটাই কম।

এছাড়াও বাদামে আছে  রাইবোফ্লাভিন (B2), নিয়াসিন (B3), থায়ামিন (B1) এবং ফোলেট (B9)। যা আমাদের বিপাকে সাহায্য করে। ফলে হজম ভাল হয়। এছাড়াও কিন্তু ক্লান্তি দূর করতেও এই বাদাম ভীষণ কার্যকরী। তবে যাঁরা আমন্ড মিল্ক খান তাঁরা প্রতিদিন ৬০ মিলি করে এই দুধ খেতে পারেন। আর বেশি নয়। আমন্ড মিল্ক খেলে কাঁচা আমন্ড ২ টোর বেশি কিন্তু খাবেন না। যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্যও এই বাদাম বেশ ভাল। এতে যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে তা আমাদের হার্ট ভাল রাখে। স্ট্রেস কমাতেও কিন্তু ভাল কাজ করে। তবে যাঁদের এই বাদাম থেকে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাঁরা এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।

আমন্ডের গ্লাইসেকির ইনডেক্স ভীষণ কম। যে কারণে যাঁরা ডায়াবিটিসে ভুগছেন তাঁদের আমন্ড খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও বাদামের মধ্যে থাকা ফাইবার শর্করার শোষণ কমিয়ে দেয়। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন দুপুরে খাবার খাওয়ার ২ ঘন্টা আগে ৫৬ গ্রাম আমন্ড খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

Next Article