নিরামিষ পদ বললেই পনিরকেই বেছে নেন বেশিরভাগ মানুষ। পনির চটজলদি রান্না হয়ে যায় এবং খেতেও সুস্বাদু হয়। পনির ভেজে নিয়ে যে কোনও তরকারিতে সহজেই মিশিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হল, পনির ভাজার পরই তা শক্ত হয়ে যায়। তখন আর মুখে দেওয়া মাত্র পনির মিলিয়ে যায় না। পাশাপাশি শক্ত পনির গ্রেভিতে মেশালে তার ভিতর ভালভাবে মশলা ঢোকে না। ফলে কোনও স্বাদও পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্রিজে রাখা পনির রান্না করলে তা এরকম শক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পনির ব্যবহারের আগে আপনাকে সহজ টোটকা মানতে হবে।
সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করুন- বাজার থেকে কিনে আনা মাত্র পনির রান্না করা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পনির সংরক্ষণ করা হয় ফ্রিজে। ফ্রিজে যখনই পনির রাখবেন, এটি কোনও এয়ারটাইট কৌটোর মধ্যে রাখুন। বাতাসের সংস্পর্শে এসে পনির শক্ত হয়ে যেতে পারে। এয়ারটাইট কৌটোতে পনির রাখলে এর আর্দ্রতা বজায় থাকে। এতে পনির নরম থাকে।
ঘরের তাপমাত্রা এনে রান্না করুন- ফ্রিজ থেকে পনির বের করে সঙ্গে সঙ্গে রান্না করবেন না। ফ্রিজ থেকে পনির বের করে ২-৩ ঘণ্টা ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন। পনিরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় এলে তারপর রান্না শুরু করুন। ফ্রিজ থেকে পনির বের করেই রান্না শুরু করলে এটি শক্ত হয়ে যায়।
সেদ্ধ করে নিন- পনির নরম করার আরেকটি সহজ উপায় হল সেদ্ধ করে নেওয়া। ফুটন্ত গরম জলে পনিরটা দিয়ে দিন। ১০-১৫ মিনিট ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এটি আপনার পনিরকে নরম তুলতুলে করে তুলবে। পাশাপাশি এই পনির দিয়ে রান্না করলে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
গরম জলের সাহায্য নিন- যদি পনির গরম জলে ফোটাতে না চান, তাহলে এই টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। পনিরটাকে কিউব আকারে কেটে নিন। খুব ছোট সাইজ করার প্রয়োজন নেই। এবার পনিরগুলো গরম জলের মধ্যে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এই উপায়ে পনির অনেক বেশি নরম হয়ে যাবে। পাশাপাশি রান্নাও হবে চটজলদি। আর এই পনির দিয়ে তৈরি পদ মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে।
একদম শেষে পনির- পনির মশলা, মটর পনির, পালং পনির—পনিরের যে কোনও পদ রান্নাতে এই টোটকা আপনাকে মানতে হবে। প্রথমে মশলা কষে নিন। গ্রেভি বানিয়ে নিন। শেষে পনির যোগ করুন। এতে পনির অনেক বেশি নরম হবে। পাশাপাশি পনিরের স্বাদ বাড়বে।