TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Aug 15, 2022 | 7:32 AM
পেটের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ইদানিং কালে শরীরচর্চা না করা, একজায়গায় বসে কাজ করা সময়ে না খাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলেই কিন্তু বাড়ছে এই সমস্যা। অনেকেই পরিমাণের তুলনায় কম জল খান। আজকাল ঘরোয়া খাবার অনেকেরই মুখে রোচে না। চটজলদি খাবার হিসেবে পিৎজা, বার্গারই থাকে প্রথম পছন্দ। এই সব খাবারের মধ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক, সোডিয়াম এসব বেশি পরিমাণে থাকে। ফলে তা হজম হতেও সময় লাগে অনেকটা বেশি।
সেই সঙ্গে ধূমপান, মদ্যপান আছেই। অতিরিক্ত ধূমপান, অ্যালকোহলে শরীর বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন হজমকারী উৎসেচকও ঠিকমতো কাজ করে না। সেই সঙ্গে অনেকেই নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করেন না। বিশেষত ছুটির দিনগুলোতে। ছুটির দিনে অধিক রাতে খাওয়া, বেলা পর্যন্ত ঘুমনো এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। এতে হজমের সমস্যা তো বাড়েই। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ক্ষেত্রে।
উইকএন্ড বা ছুটির দিনে যে সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। অফিসের তাড়ায় অন্যদিন নিয়ম মেনে, সময়ে খাওয়া হলেও একটা দিন সকলেই চান নিয়ম ভাঙতে। নিয়ম ভাঙা মানেই দেদার খাওয়া দাওয়া। একসঙ্গে বসে ৩০ টা রসগোল্লা খেয়ে নেওয়া বা ১ কেজি পাঁঠার মাংস খেয়ে নেওয়ার মত ক্ষমতা কারোর নেই। আড্ডা শেষে ভরসা ওই পোলাও, বিরিয়ানি বা চাউমিন। বেশি রাত করে তেল-মশলাদার এই সব খাবার খেলে হজমের সমস্যা হবেই। আর তাই প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আজকাল খুবই সাধারণ। এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই ঘরোয়া প্রতিকার কাজে লাগানো সবচাইতে ভাল। তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া, খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া, মশলাদার খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ এসবই কিন্তু অ্যাসিড রিফ্লাক্সের অন্যতম কারণ। খাবার সঠিকভাবে হজম হতে পারে না বলে অন্ত্রে তা ভেঙে গ্যাস তৈরি হয়, যে কারণে এই সমস্যা বেশি হয়।
যদি রাতে গুরুপাক কিছু খাবার খাওয়া হয় তাহলে খেতে পারেন টকদই দিয়ে বানানো রায়তা। এতে হজমের সমস্যা মেটে। সেই সঙ্গে পেটও ঠিক থাকে। পরদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না।
আদা, গোলমরিচ থেঁতো করে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে খেতে পারলে সেখান থেকেও থেকে সমস্যার সমাধান হয়। তাই তেল-মশলাদার খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না। তার আগে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল বা আদা জল খান। খাবেন না কোল্ডড্রিংকও। এতে সমস্যা বাড়ে।