সকাল সকাল গরম চা-কফি (Tea) কিংবা লেবু-মধুর জলে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন শুরু রহয় না। ঘুমের রেশ যেন কাটতেই চায় না। এছাড়াও ঘুম থেকে উঠে অনেকেই খালি পেটে প্রথমে নানা ডিটক্স ড্রিংক (Detox Drink) খান। সেই তালিকায় জিরের জল, মেথির জল, মৌরির জল থেকে শুরু করে থাকে আরও অনেক কিছু। তবে খালি পেটে ইষদুষ্ণ লেবু-মধুর জল খাওয়া নিয়ে কিন্তু নানা জনের মধ্যে নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন রোজ সকালে এই জল কেলে ওজন কমে আবার কারোর মতে দিনের পর দিন এই জল খেলে হজমেরও সমস্যা হয়। আজকাল ১৮ বছরের পর থেকেই মেয়েদের নানা সমস্যা লেগে থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই হরমোনের অসামঞ্জস্যতা (Hormonal Imbalance) জনিত একাধিক সমস্যা থাকে। সেখান থেকে অনেক সময় তৈরি হয় বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনাও। এছাড়াও হরমোনের সমস্যা হলে তার প্রবাব কিন্তু পড়ে আমাদের ত্বকেও। ত্বক শুষ্ক হয়ে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যাায়। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন সকলেরই দিন শুরু করা উচিত এক গ্লাস ইষদুষ্ণ গরম জলের সঙ্গে। এর পর খান একগ্লাস কেশর-এলাচ ভেজানো জল। প্রাচীন আর্য়ুবেদেও কিন্তু উল্লেখ রয়েছে এই পানীয়ের। এতে যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে তেমনই একাধিক সমস্যারও সমাধান হবে।
রোজ সকালে যদি মেয়েরা এই জল খেতে পারেন তাহলে ত্বক ভাল থাকবে। প্রাচীন আর্য়ুবেদ শাস্ত্রে যেমন বলা হয়েছে, ত্বক ভাল রাখতে অনেকেই সকালে খালিপেটে করলার জুস খান। কিন্তু তার পরিবর্তে যদি রোজ এই কেশর জল খান তাহলে ফিরবে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য। এছাড়াও ভাল হবে ত্বকের স্বাস্থ্য।
চা-কফির থেকে কিন্তু অনেক ভাল এই পানীয়। গরম চায়ে যে ক্যাফিন থাকে তার থেকে অনেক স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে এই কেশর জলে।
আজকাল চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় কিন্তু সকলেই ভুগছেন। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় এই সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে হারিয়ে যাচ্ছে চুলের স্বাভাবিক বর্ণ। সেক্ষেত্রে ভাল কাজ করে এই এলাচ-কেশরের জল। চুলের গুণমানও অনেক উন্নত হয়।
পিরিয়ডসের সময়ে প্রায় সকলেরই পেটে ব্যথা, অতিরিক্ত রক্তপাত এবং ক্র্যাম্পের মত সমস্যা থাকে। সেই সব সমস্যা দূর করতেও কিন্তু বেশ ভাল কাজ করে এই কেশর-এলাচ-আমন্ড মিশ্রিত জল। খালি পেটে এই পানীয় বানিয়ে খেতে পারলে নিজেই তফাত বুঝতে পারবেন।
এই পানীয় বানাতে যা কিছু লাগছে-
জাফরান- ৫-৭ টি
দারুচিনি- ১ ইঞ্চি
এলাচ- ২-৪ টি
আমন্ড- ৫-৭ টি
মধু- ১ চামচ
যে ভাবে বানাবেন
দু কাপ পরিমাণে জল নিয়ে ওর মধ্যে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি আর জাফরান ফেলে ফুটতে দিন। এবর পাঁচ মিনিট পর তা ছেঁকে নিন। ছেঁকে ঠান্ডা হলে ওই জলে মধু মেশান এবং উপর থেকে গুঁড়ো করা আমন্ড ছড়িয়ে দিন। ব্যাস তৈরি কেশর-এলাচের জল।