রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে বঙ্গবাসীর। এই দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে হাইড্রেটেড থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। আর এই হাইড্রেশনের কাজকে সহজ করে দেয় ডাবের জল। গরমে সুস্থ থাকার সেরা দাওয়াই ডাবের জল। গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এই সময় যদি আপনি ডাবের জলে চুমুক দেন, তাহলে ফিরতে পারে এনার্জি।
গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ডাবের জল পান করতেই হবে। ডাবের জল শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখন শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, তখন ক্লান্তি, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব দেখা দেয়। এই সময় ডাবের জল পান করলে এই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও ডাবের জল কিডনি রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। কিডনিতে পাথর হলে আপনি ডাবের জলের পান করতে পারেন। এতে কিডনি স্টোন দূর হয়ে যেতে পারে।
হার্টের রোগীদের জন্যও উপকারী এই ডাবের জল। ডাবের জল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে, ডায়াবেটিসের রোগীরা ডাবের জল পান করতে পারবেন কি না। ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে ডাবের জলে চুমুক দিতে পারবেন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না।
টাটকা ডাবের জল স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী। তবে, এই গরমে আপনি ডাবের জলের শরবতও পান করতে পারেন। স্বাদ বদলের জন্য ডাবের জলের শরবতও দারুণ উপকারী। এতে আপনি তরতাজা বোধ করবেন। বিভিন্ন উপায়ে আপনি ডাবের জলের শরবত বানিয়ে নিতে পারেন। রইল ডাবের জলের শরবতের ২টি রেসিপি।
সবজা সিড ও ডাবের জল: অর্ধেক কাপ জলে এক চামচ সবজা বীজ ভিজিয়ে রাখুন। একটা গ্লাসে প্রথমে লেবুর স্লাইস দিয়ে দিন। গ্লাসে ১০টা তুলসি পাতা ফেলে দিন। এবার এতে ২ চামচ ভেজানো সবজা বীজ মিশিয়ে দিন। এবার গ্লাস ভর্তি করে ডাবের জল দিয়ে দিন। এই শরবতে আপনি তরতাজা বোধ করবেন।
ডাবের শাঁসের শরবত: ডাবের জল আলাদা করে রাখুন। ডাবের শাঁস বের করে নিন। ব্লেন্ডারে ডাবের শাঁসের সঙ্গে ডাবের জল ব্লেন্ড করে নিন। এতে বিটনুন মিশিয়ে পরিবেশন করুন ডাবের শাঁসের শরবত। এই শরবত ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।