সুস্বাস্থ্যের খাতিরে অনেকেই তেল ( Oil) ছাড়া রান্না পছন্দ করেন। জল দিয়ে তো আর মাছের ঝোল ( Fish curry) হয় না। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেলেরও প্রয়োজন। তেল ছাড়া খাবার খেলেই দুদিনের মধ্যে ওজন কমে যাবে বিষয়টা মোটেই এরকম নয়। তেলের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। আর তাই অতিরিক্ত তেল ( Cooking oil) নয়, মেপে তেল খান। চিকিৎসকরা বলেন রোজ তিন থেকেল চার চামচের বেশি তেল খেতে না। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই সেই মাত্রা পেরিয়ে যায়। আর তাতেই কিন্তু বিপত্তি। যেমন বাঙালিরা ভাজা, ডাল এসব খেতে পছন্দ করে। অনেকে আবার যে কোনও সিদ্ধও তেল দিয়ে না মেখে খেতে পারেন না। এতেই কিন্তু বিপত্তি। তেল ঠিকভাবে না খেলেই শরীরে হুড়মুড়িয়ে বাড়তে থাকে ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল। ওজন তো বাড়েই, সঙ্গে হার্টের সমস্যাও আসে।
কড়াইতে তেল ঢেলে ধোঁয়া না ওঠা অবধি বাঙালিরা তাতে মাছ ছাড়েন না। বেশির ভাগ বাঙালি রান্নাই সাধারণত করা হয় খুব উচ্চ তাপে৷ কাজেই এমন তেল ব্যবহার করা উচিত যার স্মোক পয়েন্ট বেশি৷ যাতে রান্নার সময় তা ভেঙে না যায়। রান্না করতে গিয়ে যদি তেল ভেঙে যায় তাহলে সেখান থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ তৈরি হয়। যা ক্যানসার এবং অন্যান্য গুরুতর অসুখের কারণ। উচ্চ স্মোকিং পয়েন্ট রয়েছে এমন লিস্টে আছে সরষে, ক্যানোলা, সানফ্লাওয়ার, সয়াবিন, রাইস ব্র্যান, বাদাম আর তিল তেল৷ অলিভ অয়েলের স্মোক পয়েন্ট এদের চেয়ে কম৷ সে জন্য সাধারণ এই তেল রান্নায় ব্যবহার না করে শাক-সবজি-মাছ-মাংস দিয়ে স্ট্যু বানাতে কিংবা স্যঁতে করার জন্য বা স্যালাড বানাতে ব্যবহার করা হয়৷ এতে শরীরও সুস্থ থাকে আর অন্য সমস্যাও থাকে না৷ তাই অলিভ অয়েল দিয়ে চিকেন কষা বানানোর চেষ্টা না করাই ভাল।
তবে সবথেকে ভাল তেল মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারলে। সরষের তেলের সঙ্গে সাদা তেল মিশলে কিন্তু কোনও ক্ষতি নেই। তবে পরিমাপ ঠিক রাখতে হবে। ধরা যাক কোন কিছু সাদা তেলে রান্না করলেন। এবার যদি তার উপর সরষের তেল ছড়িয়ে খেতে ইচ্ছে হয় তাহলে খেতেই পারেন। চেষ্টা করবেন দিনে তিন চামচের বেশি তেল না খাওয়ার। যদি কোনও পদ বেশি তেলে রান্না করে ফেলেন তাহলে সেদিন অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার কিংবা ঘি-মাখন খাবেন না। মাছের যে কোনও পদ সব সময় সরষের তেলে বানানোর চেষ্টা করবেন। এতে কিন্তু পুষ্টি বেশি। তেমনই মাংস, পনির রাইস ব্র্যান বা সোয়াবিন অয়েলে বানাতে পারেন। তেমনই পোলাও রান্না করতে পারেন অলিভ অয়েলে।
তবে পোড়া তেল কখনও রান্নায় ব্যবহার করবেন না। ধরা যাক পাঁপড় কিংবা লুচি ভাজলেন। অতিরিক্ত তেল দিয়ে পরের দিন রান্না না করে তা ফেলে দিন। ওই তেল যেটুকু সাশ্রয় করবেন তার থেকে অনেক বেশি খরচা হতে পারে চিকিৎসার খাতিরে। তাই আগে থেকেই সচেতন থাকুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।