সুস্থ থাকতে রে়ডমিট এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল। কারণ এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। এই ক্যালোরি পুরোপুরি জমা হয় ধমনীতে। আর এর ফলে হার্টের সমস্যা আসে। থেকে যায় হার্ট ফেলিওয়ের সম্ভাবনাও। এছাড়াও নিয়মিত ভাবে মাটন খেলে একাধিক রোগ সমস্যাও জাঁকিয়ে বসে শরীরে। আর তাই মাটন এড়িয়ে যেতে পারলেই সবচাইতে ভাল। তবে এর স্বাদের জন্য অধিকাংশ জন মাটনের লোভ এড়াতে পারেন না। মাটন বিরিয়ানি, রেজালা, টিক্কা, কাবাব, রোল এসব চলতেই থাকে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে রবিবার মানেই বাঙালির বাড়িতে ধরাবাঁধা ছিল খাসির ঝোল। গরম ভাত, পাতিলেবু আর আলু দেওয়া ধোঁওয়া ওঠা মাটনের স্বাদই ছিল আলাদা। চিকেনকে অনেকেই মাংস হিসেবে গণ্য করতেন না। যদিও বর্তমানে এই ভাবনায় এসেছে বদল। মটনের পরিবর্তে জিভ বেশি অভ্যস্ত হয়েছে চিকেনেই।
মাটন খেলে পরিমাণে খেতে হবে। সপ্তাহে একদিন খেলেও ছোট ২ পিসের বেশি নয়। আর এই শীতকালে ঠাণ্ডা লাগা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এই সব সমস্যা লেগেই থাকে। নাক দিয়ে জল পড়া, সর্দি, কাশি ঠেকাতে খুব ভাল ওষুধ হল মাটনের ঝোল। তেল মশলা ছাড়া একেবারে হালকা-পাতলা ঝোল বানিয়ে নিন এই ভাবে।
যা কিছু লাগছে মাটনের ঝোল বানাতে
ছোট মাটনের টুকরো- ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম
সাদা তেল- এক চামচ
আদা কুচি- হাফ চামচ
রসুন- ১০ কোয়া
গোটা গরম মশলা
ধনে গুঁড়ো
জিরে গুঁড়ো
যেভাবে বানাবেন
মাটনের টুকরো খুব ভাল করে ধুয়ে নিন। প্রেসারে এক চামচ সাদা তেল দিয়ে ওর মধ্যে লবঙ্গ, এলাচ, স্টার অ্যানিস, গোলমরিচ, তেজপাতা দিয়ে একবাটি পেঁয়াজের স্লাইস মিশিয়ে দিতে হবে। এবার পেঁয়াজে বাদামী রং ধরলে মাটনের টুকরো মিশিয়ে দিন। ধনেপাতা, রসুন আর আদা একসঙ্গে বেটে নিয়ে মিশিয়ে নিন। স্বাদমতো নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গরম মশলাগুঁড়ো আর লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে কষাতে থাকুন। ২ গ্লাস মেপে জল দিন। এতে মাটন সিদ্ধ হয়ে যাবে। ফুটে উঠলে উপর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে মাটনের এই ঝোল খেতে খুব ভাল লাগে। আদা, রসুন আর গোলমরিচ ব্যবহার করায় তা শরীরের জন্য উপকারী।