শীতের সবজির জুড়ি মেলা ভার। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে পালং শাক। শীত আসা মানেই পালং শাকের পদে ভর্তি হবে ডিনার টেবিল। এই সময় সবচেয়ে বেশি রান্না করা হয় পালং পনির। স্বাদের দিক দিয়ে এই পদের কোনও তুলনা হয় না। কিন্তু স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে বিচার করলে কতটা উপযোগী পালং পনির? পালং শাককে সুপারফুড বলা হয়। আর যখন এর সঙ্গে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ পনির মেশে তখন এর পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।
পালং পনির পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার। এই পদের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং আরও অনেক পুষ্টি রয়েছে। হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই খাবার দারুণ উপযোগী। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, পালং পনির খেয়েও আপনি ওজন কমাতে পারেন। এই খাবারে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। এটি ওজন কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পালং পনির খেয়ে হজম গোলযোগ হবে এমনটা ভাববেন না। পালং পনির কিন্তু হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। পনিরের মধ্যে প্রোটিন কেসিন থাকে যা পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হজমে সাহায্য করে। তাহলে এই মরশুমে কীভাবে পালং পনির তৈরি করবেন, দেখে নিন…
পালং পনির তৈরি করার সহজ রেসিপি-
১ আঁটি পালং শাক প্রথমে সেদ্ধ করে নিন। এটা পালং শাকটা মিক্সিতে বেটে নিন। এবার কড়াইতে ১ চামচ তেল গরম করুন। এতে ৫০০ গ্রাম পনির কিউব করে কেটে ভেজে নিয়ে তুলে রাখুন। আবার ১ চামচ তেল গরম করুন। এতে গোটা ধনে, তেজ পাতা ও ছোট এলাচ ফোঁড়ন দিন। এতে ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। এতে রসুন বাটা ও আদা বাটা দিয়ে দিন। ভাল করে ভেজে নিন যাতে পেঁয়াজ ও রসুনের কাঁচা গন্ধ কেটে যায়।
এবার কড়াইতে পালং শাক বাটা দিয়ে দিন। এবার ভাল করে কষে নিন। কড়াইতে তেল ছাড়তে শুরু করলে এবার এতে ভেজে রাখা পনিরের কিউবগুলো দিয়ে দিন। এবার এতে একে একে স্বাদমতো নুন, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিন। পালং পনিরটা ভাল করে কষে নিন। গ্রেভি খুব ঘন হয়ে গেলে অল্প জল দিতে পারেন। এরপর ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ৫ মিনিট রেখে দিন। মিনিট পাঁচেক পর ঢাকনা সরিয়ে উপর দিয়ে ক্রিম ছড়িয়ে দিন। তৈরি পালং পনির। রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন পালং পনির।