ঘোরতর চা-প্রেমীরাও কিন্তু শীতের সকাল শুরু করেন এককাপ কফিতে। শীতের সঙ্গে দারুণ একটা যোগসূত্র রয়েছে কফির। কম্বলের নরম ওম আর হাতে ধোঁওয়া ওঠা কফি- জব্বর ঠান্ডাকে জব্দ করতে এর থেকে বেশি আর কী চাই! শীতে কফির স্বাদ যেন আরও একটু বেশিই খোলতাই হয়। অনেক মধ্যবিত্ত বাড়িতেই শীতের সন্ধ্যার চা-টা বদলে যায় দুধ-কফিতে। এইসময় বাড়িতে কোনও অতিথি আসলেও তাঁকে প্রথম প্রশ্ন থাকে, এক কাপ কফি হয়ে যাক? এছাড়াও যে কোনও আড্ডা যে সবচেয়ে বেশি জমে কফি কাপেই…এই বিষয়টিও কিন্তু নতুন নয়।
শীতের দিনে আলস্য সবচেয়ে বেশি ঘিরে ধরে আমাদের। আর এই আলস্য দূর করতে কফির কিন্তু জুড়ি মেলা ভার। তবে কফি আবার অতিরিক্ত খাওয়াও কিন্তু ঠিক নয়। তাহলেই জাঁকিয়ে বসবে ডাইরিয়া, ইনসমনিয়া, অতিরিক্ত ক্লান্তি… এইসব। এছাড়াও দুধ-চিনি-ক্রিম দেওয়া কফি যদি নিয়মিত খান তাহলেও কিন্তু বাড়বে ওজন। রোজকার কফির স্বাদবদল করে কী ভাবে তাকে আরও বেশি স্বাস্থ্যকর করকে তুলবেন, রইল কিছু আইডিয়া
প্রথমেই চিনি বাদ দিন। চিনি বেশি খেলে শুধুই যে সুগার বাড়ে তা নয়, তার সঙ্গে দেখা দেয় আরও নানা শারীরিক সমস্যা। তাই চিনি দিয়ে কফি খাওয়ার অভ্যাস আগেই ছাড়ু। এছাড়াও সকালের কফিতে চিনি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
ফুল ফ্যাট মিল্ক কিংবা ক্রিম কিন্তু কফিতে একেবারেই ব্যবহার করবেন না। যদি দুধ ছাড়া কফি খেতে না পারেন তাহলে লাইট মিল্ক, সোয়া মিল্ক কিংবা আমন্ড মিল্ক দিয়ে খেতে পারেন।
যাঁরা চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খান, তাঁরা কফিতে মিশিয়ে নিন চারচিনির গুঁড়ো। প্রয়োজনে সামান্য মধু দিতে পারেন। এতে কফি খেতে ভাল লাগবে, বাড়বে মেটাবলিজমও।
আদা দিয়ে চা তো খেয়েছেন, কিন্তু কফি? একটি পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে কয়েক কুচি আদা ফেলে দিন। আদা দেওয়া জল এ বার ভাল ভাবে ফুটিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ পর সেই জলে কফি মিশিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন। খাওয়ার আগে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলে আরও বেশি উপাদেয় হবে এই কফি।
ব্ল্যাক কফি বানিয়ে ওর মধ্যে মিশিয়ে নিন সামান্য মধু-লেবুর রসের মিশ্রণ। গরম গরম এই কফি গলাকে যেমন আরাম দেয়, তেমনই খুশখুশে কাশিও দূর করবে। তবে কফি কেনার সময়েও সতর্ক থাকুন। একেবারে ডাস্ট কফি না কিনে কফি দানা কিনুন। এই কফি কিন্তু খেতে অনেক ভাল।
আরও পড়ুন: Winter Special Desserts: এই শীতে মিষ্টি মুখ করুন নলেন গুড়ের তৈরি এই ডেসার্টগুলি দিয়ে