হাড় শক্তিশালী করার জন্য দুধের প্রয়োজন। দুধের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। আর তাই নিয়মিত ভাবে দুধ খেতে পারলে ভাল। দুধের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি ১২, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস। অনিদ্রা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, দাঁতের সমস্যা এবং হাড় দুর্বল হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে দুধ খেলে কাজে আসবে। তবে দুধও পরিমাণে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত দুধ খেলে সেখান থেকেও হতে পারে সমস্যা।
দিনে কতটা পরিমাণ দুধ খেতে পারেন?
পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম পেতে শিশুদের দিনে ২-৩ কাপ দুধ অর্থাৎ ৪০০-৫০০ গ্রাম দুধ খাওয়া যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ২ গ্লাস পর্যন্ত দুধ খেতে পারেন। তবে তিনগ্লাসের বেশি দুধ খেলে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও হজমেও সমস্যা হয়। সুইডিশের একটি সমীক্ষা অনুসারে প্রতিদিন তিনগ্লাসের বেশি দুধ খেলে মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত দুধ আবার শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস, পেটে ফোলাভাব, ডায়ারিয়া, হজমের সমস্যাও দেখা যায়। যাঁদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে তাঁদের দুধ বিষের মত কাজ করে। তবে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালশিয়ামের জন্য দুধের সঙ্গে পনির, দই, সবুদ শাক, সয়াবিন, ডুমুর, ব্রকোলি, কমলালেবু এসব বেশি করে খেতে হবে।
যে সব প্রশ্ন সকলের মনেই ঘোরাফেরা করে
সেরা দুধ কোনটি?
গোরুর দুধই সবচাইতে বেশি স্বাস্থ্যকর। মহিষের দুধে প্রোটিন আর চর্বি দুই থাকে। সব সময় ফ্যাট ফ্রি দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কোন সময় দুধ খাবেন?
রাতে দুধ খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আর তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খেলে সবচাইতে ভাল। এতে পরদিন সকালে পেটও ঠিকমতো পরিষ্কার হয়ে যায়।
কাঁচা দুধ কি খাওয়া যায়?
কাঁচা দুধ খাদ্যে বিষক্রিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। আর তাই দুধ না ফুটিয়ে কিছুতেই খাবেন না। কাঁচা দুধ খেলে পেট খারাপ হয়েযায়।
খালি পেটে দুধ খেলে কী কী সুবিধে পাওয়া যায়?
খালিপেটে দুধ খেলে পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়। সেই সঙ্গে সারাদিন এনার্জিও থাকে ভরপুর। এছাড়াও দুধ আর চিয়াসিড মিশিয়ে খেলে ওজন কমে তাড়াতাড়ি। মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোনও কিছু একেবারেই নয়। বেশি দুধ খেলেও হাড় গলে যেতে পারে।