সুস্থ থাকতে সকলকেই কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বাড়লেই সেখান থেকে দেখা দেয় একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীরিক গঠনেরও পরিবর্তন হয়। সেই সঙ্গে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ৩৫ বছরের পর থেকে প্রতি ১০ বছরে ৫ সতাংশ পেশির ভর হারিয়ে যায়। ফলে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমে বিপাক ক্রিয়াও। পেশির মধ্যে যদি সামঞ্জস্য না থাকে তাহলে তখন ওজন কমাতেও কিন্তু বেশ বেগ পেতে হয়। এই বয়সের পর থেকে হার্টের পেশিও অল্প অল্প শিথিল হতে শুরু করে। যে কারণে বয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের শক্তি, এনার্জি, হজম ক্ষমতা সবই কমতে থাকে। ফলে তখন কিন্তু ওজন কমানো বেশ কঠিনই হয়ে পড়ে। আর তাই বলা হয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ছেঁটে ফেলতে হবে কার্বোহাইড্রেট। আজকাল ৪০ পেরোতে না পেরোতেই অধিকাংশ ডায়াবিটিসে ভুগছেন। ফলে ৫০ পেরোলে তো সাবধানে থাকতেই হবে। এই সময় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যা কিছু অবশ্যই মেনে চলবেন-
কাজের মধ্যে থাকুন- বয়স হচ্ছে বলেই যে কাজ কম করবনে এরকম কিন্তু নয়। বরং এই বয়সের পর থেকে বেশি করে কাজ করুন। অফিসের কাজ, বাড়ির কাজ, বাইরের কাজ সব নিজের হাতে করুন। এছাড়াও বাগান করা, গাড়ি চালানোর মত শখ আহ্লাদও রাখুন। যত বেশি কাজের মধ্যে থাকবেন ততই কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ।
পর্যাপ্ত ঘুম- সুস্থ থাকতে কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমেরও প্রয়োজন। আর সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ঘুম ভাল হলে কিন্তু একাধিক রোগ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ওবেসিটির সমস্যা আসে না। ঘুম কম হলেই থেকে যায় হার্টের সমস্যার ঝুঁকি।
খাবার স্কিপ নয়- ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সব খাবার নিয়ম করে খাবেন। কোনও কাবারই বাদ দেবেন না। সেই সঙ্গে খাবার গ্রহণের মধ্যে বেশি গ্যাপ রাখবেন না। গ্যাপ পড়লেই শরীর খারাপ হয়। খাবার হজম হতে চায় না। ওজন বাড়া, ডায়াবিটিস একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।
শরীরচর্চা করুন- রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। দিনের মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে। তবে মন থেকে শরীরচর্চা করুন। জোর করে নয়। তবেই কিন্তু সঠিক ফল পাবেন। যোগা, ওয়েট ট্রেনিং, সাঁতার যে কোনও রকম শরীরচর্চা অবশ্যই করবেন।
বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন- শরীর ভাল রাখতে চাইলে সবার আগে মন ভাল রাখতে হবে। যত বেশি বন্ধুদের সঙ্গে মিশবেন ততই কিন্তু মন ভাল থাকবে। যতই কাজের চাপ থাক না কেন সপ্তাহে অন্তত একদিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন। এতে মন ভাল থাকবে আর ওজনও কমবে।