দীপাবলির এই কয়েকদিন আশপাশের বাড়িগুলো দেখতে দারুণ লাগে। যে দিকে তাকানো যায় সেদিকেই আলো। আলোর এই উৎসব মন থেকে যাবতীয় অন্ধকার দূর করে দেয়। সঙ্গে বয়ে আনে খুশির বার্তা। উৎসবের আনন্দ সকলের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারলে তবেই সবচাইতে ভাল লাগে। আলো যে কোনও অন্ধকার দূর করে দেয়। অনেক বাড়িতেই আজ হচ্ছে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা। তেমনই প্রচুর জায়গায় হয় কালী পুজো। অধিকাংশ বাড়িতেই আজ নিরামিষ খাওয়ার রীতি। খিচুড়ি, পায়েস, লাবড়া, চাটনি, বেগুনি এসব তো আছেই। লুচি বা পরোটার সঙ্গে বানিয়ে নিতে পারেন মালাই ফুলকপি। বাজারে এখন প্রচুর পরিমাণে ফুলকপি উঠেছে। খেতেও বেশ ভাল। তাই তরকারি বা ঝোল না বানিয়ে এভাবেই বানিয়ে নিন মালাই ফুলকপি। এই কপির তরকারি বানাতে কোনও রকম পেঁয়াজ রসুন লাগছে না। সহজে বানিয়ে নিতে পারবেন বাড়িতেই।
যা কিছু লাগছে
ফুলকপি: ১টি (ডুমো করে কাটা)
পেঁয়াজ স্লাইস করা- ১ কাপ
ধনেপাতা কুচি- হাফ বাটি
হলুদ গুঁড়ো- ১ চামচ
নারকেলের দুধ- ১ কাপ
লঙ্কার গুঁড়ো- হাফ চামচ
সর্ষের তেল: ৩ টেবিল চামচ
নুন ও চিনি-স্বাদমতো
ফ্রেশ ক্রিম- ২ চামচ
যে ভাবে বানাবেন
কড়াইতে তেল গরম করে গোটা জিরে দিতে হবে। এবার এর মধ্যে পেঁয়াজের স্লাইস দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। ফুলকপি আগে থেকে নুন দিয়ে ভাপিয়ে রাখুন। এবার ওর মধ্যে সামান্য টকদই. নুন চিনি আর জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। হাফ কাপ দুধে সামান্য জাউরান মিশিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ ভাজা হলে লঙ্কার গুঁড়ো, গুঁড়ো মশলা দিয়ে নাড়াচাড়া করে ওর মধ্যে ফুলকপির টুকরোগুলো মিশিয়ে দিন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে নারকেলের দুধ মিশিয়ে দিন। নুন চিনি চেখে নিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ২ মিনিট। নামানোর আগে ফ্রেশ ক্রিম ছড়িয়ে দিন। এবার গরম গরম লুচি বা মিষ্টি পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।