গরম যে ভাবে বাড়ছে তাতে কোনও কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। এছাড়াও এই গরমে রান্নাঘরে বেশি সময় কাটানো খুবই কষ্টের। যতটা সম্ভব সকালের দিকে রান্নার কাজ সেরে রাখুন। আর গরমে একেবারে হালকা পাতলা খাবার খান। বেশি মশলা একেবারেই ব্যবহার করবেন না। পেঁয়াজ, রসুন যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভাল। এই সময় পেট খারাপ, বমি, গ্যাস-অম্বলের মত সমস্যা লেগে থাকে। রোদে বেরোলেই মাথা ধরা, ক্লান্চি, ঘাম এসব লেগেই থাকে। তাই বাড়ির বাইরে বেরোলে সঙ্গে জলের বোতল, ছাতা, টুপি এসব রাখুন। সুতির পোশাক পরুন। খুব মোটা কোনও কিছু পরবেন না। এছাড়াও কালো, লাল, ঘন নীল এসব রঙের পোশাকও এই সময় এড়িয়ে চলুন। বাড়ি থেকে ছাতু, চিঁড়ে কিংবা ভাত খেয়ে বেরোন।
দুপুরে একদম হালকা খাবার খান. ভাত, টকের ডাল, হালকা মাছের ঝোল এই সময় সবচেয়ে বেশি উপাদেয়। লাউ, ঝিঙে, পটল এই সব সবজি রাখুন মেনুতে। লাউ, ঝিঙের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল, যা শরীরের জন্য ভাল পেট ঠাণ্ডা রাখে। গরমে ঝিঙে পোস্ত, ঝিঙে দিয়ে মাছের ঝোল এসব তো খান, এবার গরমে বানিয়ে নিন চিংড়ি দিয়ে ঝিঙের ঝোল। এই রান্নায় কোনও রকম মশলা পড়ে না। জিরে গুঁড়ো, তেজপাতা আর শুকনো লঙ্কা দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন।
ঝিঙের ছাল ছুলে নিন। তবে পুরো ছুলে দেবেন না। অল্প রেখে দেবেন। এতে ঝিঙে খেতে ভাল লাগে। এরপর ঝিঙে একটু বড় টুকরো করেই কেটে নিতে হবে। আলু ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। ৫০০ গ্রাম চিংড়িতে নুন হলুদ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ফোড়ন দিন। এবার একটা মিডিয়াম সাইজের টমেটো কুচি মিশিয়ে দিন। এবার ঝিঙে দিয়ে স্বাদমতো নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার এর মধ্যে চিংড়ি মাছ মিশিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। কষা হয়ে এলে এক কাপের থেকে একটু কম জল মিশিয়ে নিন। এবার ১০ মিনিট লো ফ্লেমে ঢেকে রাখুন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ঝিঙে-চিংড়ির ঝোল। তবে খুব বেশি ঝোল রাখবেন না। গরমের দিনে গরম ভাতে খুব ভাল লাগে এই ঝোল।