Weight Loss Meal: রোজকার ডায়েটে ওটসের স্বাদ বদলে মিশিয়ে নিন এই কয়েকটি উপাদান! ওজনও কমবে ঝটপট

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 19, 2022 | 2:08 AM

যাঁরা ডায়েট করেন কিংবা যাঁরা ব্বাড সুগারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের প্রত্যেকেই ব্রেকফাস্টে রাখেন ওটমিল। ওটসের মধ্যে কোনও ক্যালোরি নেই। সঙ্গে কোলেস্টেরলও থাকে নিয়ন্ত্রণে...

Weight Loss Meal: রোজকার ডায়েটে ওটসের স্বাদ বদলে মিশিয়ে নিন এই কয়েকটি উপাদান! ওজনও কমবে ঝটপট
যে কারণে রোজকার ব্রেকফাস্টে রাখবেন ওটস

Follow Us

সুস্থ থাকতে ওটসের জুড়িমেলা ভার। আর তাইতো ঘরে ঘরে একচেটিয়া ব্রেকফাস্ট টেবিল দখল করে রেখেছে ওটমিল। নিয়মিত ওটস খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ওটস কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর। সেই সঙ্গে ক্যালোরি একেবারেই নেই। ফলে যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা যেমন রাখবেন তেমনই কিন্তু যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও ডায়েটে রাখবেন ওটস। এছাড়াও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে ওটসের। যাঁদের পেটের ক্রনিক সমস্যা রয়েছে, হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও কিন্তু নির্ভয়ে ওটস খেতে পারেন। আজকাল বাচ্চাদেরও ওটস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। দুধ, দই দিয়ে যেমন ওটস খেতে পারেন তেমনই আবার খিচুড়ি বানিয়েও খেতে পারেন। এছাড়াও বাজারে এখন নানা ফ্লেভারের ওটসও কিনতে পাওয়া যায়। তবে রোজ একঘেঁয়ে ওটস খেতে কারই বা ভাল লাগে। তাই স্বাদ বদল করতে ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে দিন এই সব উপাদান। এতে যেমন স্বাদে পরিবর্তন আসবে তেমনই কিন্তু ওজনও কমবে।

আখরোট- ওটসের সঙ্গে বিভিন্ন রকম বাদাম মিশিয়েও কিন্তু খেতে পারেন। আমন্ড অনেকেই খান। তবে মিশিয়ে নিতে পারেন আখরোটও। আখরোটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা কমায়। সেই সঙ্গে ওজনও রাখে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও আখরোটের মধ্যে থাকে ভাল ফ্যাট। যা আমাদের হার্ট ভাল রাখে এবং ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়।

বেরিস- ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি শরীরের জন্য খুবই ভাল। এই দুটি ফলের মধ্যেই থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। আর তাই এই দুটি ফল মিসিয়ে নিন ওটসের সঙ্গে। স্লাইস স্ট্রবেরি ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে নিসে দেখতে আর খেতে দুই ভাল লাগে। তেমনই ব্লু বেরি মেশালে সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো আর পিনাট বাটার মেশাতেও কিন্তু ভুলবেন না। এছাড়াও এই দুটো ফলের মধ্যেই থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। থাকে ভিটামিন। যা দ্রুত ওজন কমায়।

চিয়া সিডস- ডায়াবেটিসের সমস্যা কিংবা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় সব সময় চিয়া সিডস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যের জন্য চিয়া সিডস কিন্তু খুবই উপকারী। এছাড়াও চিয়া সিডসের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট একেবারেই নেই। ১০০ গ্রাম চিয়া বীজের মধ্যে প্রোটিন থাকে মাত্র ১৭ গ্রাম। থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ব্রেকফাস্টের পর লাঞ্চের আগে খান এক গ্লাস চিয়া সিডস ভেজানো জল।

গুড়- ওটসের নিজস্ব কোনও স্বাদ নেই। তাও দুধ কিংবা দই মিশিয়ে দিব্যি খাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই আছেন যাঁরা নূন্যতম মিষ্টি ছাড়া খেতেই পারেন না। সেক্ষেত্রে তাঁরা ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে নেন চিনি। এই চিনি কিন্তু ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। আর তাই জীবন থেকে প্রথমেই বাদ দিন চিনি। বরং একটুকরো পাটালি গুড় খেতে পারেন। এতে ওজন বাড়বে না, সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

Next Article