শরীরের জন্য পুষ্টি আর অক্সিজেন এই দুই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুষ্টি আর অক্সিজেন না পেলে কোষগুলো মারা যেতে পারে। আর কোষ যদি নষ্ট হতে শুরু করে তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি, লিভার ইত্যাদির উপরেও প্রভাব পড়ে। এর জন্য শরীরের সব শিরা-উপশিরা পরিষ্কার রাখতে হবে। শিরায় যদি কোলেস্টেরল একবার জমতে শুরু করে তাহলে শরীরের সর্বত্র সমান ভাবে রক্ত সঞ্চালিত হতে পারে না। শরীরে ভাল আর খারাপ এই দুই রকম কোলেস্টেরল থাকে। কিছু খাবার থাকে যা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কোলেস্টেরল মোম জাতীয় করকম আঠালো চটচটে পদার্থ। এর ফলে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার, ডিপ ফ্রায়েড খাবার, তেল-ঘি-মাখন, রেড মিট এসবের মধ্যে কোলেস্টেরলের ভাগ সবচাইতে বেশি। কোলেস্টেরল যখন বাড়তে থাকে তখন তার বিশেষ কোনও লক্ষণ থাকে না। চুপিসাড়েই থাবা বসায় শরীরে। কিন্তু ঘাড়-হাতের সংযোগস্থলে স্নায়ুতে টান, হাত-পা মাঝেমধ্যয়ে অসাড় হয়ে যাওয়া, পা অসাড় হয়ে যাওয়া, পায়ে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, উচ্চরক্তচাপ, ক্লান্তি এসব কিছু কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ এবং সেই সঙ্গে জানান দেয় শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো হচ্ছে না।
কোলেস্টেরল রুখতে রোজ রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কাঁচা ২-৩ কোয়া রসুন খেতে পারলে খুব ভাল। রসুনের মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ। এর ফলে কোলেস্টেরল গলে এবং রক্ত প্রবাহ অনেক সহজ হয়।
রোজ চিয়া সিডস, ফ্ল্যাক্স সিডস, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ো বীজ আর তিসির বীজ মিশিয়ে খান। ওটস, আমন্ড, পেস্তা, মাখানা আর সব বীজ একসঙ্গে গুঁড়ো করে রাখুন। সঙ্গে তিনটে শুকনো খেজুর দিয়ে গুঁড়ো করবেন। রোজ সকালে খালিপেটে তা জলে গুলে খেয়ে ফেলুন।
নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রোজ সকালে খালিপেটে নিমপাতা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেই সঙ্গে শরীরও থাকবে সুস্থ। নিম পাতা-কাঁচা হলুদ আর একটু আখের গুড় একসঙ্গে নিয়ে খেতে পারেন।
মেথি বীজও খুব ভাল। রোজ রাতে মেথি এক চামচ নিয়ে ভিজিয়ে রাখুন একগ্লাস জলে। পরদিন সকালে তা ছেঁকে নিয়ে খান। এতে শরীর ভাল থাকবে এমনকী সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কোলেস্টেরল কমাতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারও ভাল কাজ করে। এতে ওজনও কমবে। দুপুরে খাবার খাওয়ার আগে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। এতে শরীর ভাল থাকবে।