Food History Facts: আইসক্রিম থেকে শুরু করে শ্যাম্পেন, সবই আমেরিকায় প্রবর্তন করেছিলেন এই প্রেসিডেন্ট!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Aug 30, 2022 | 7:26 PM

President Thomas Jefferson: কার্বস-এর বিশেষ ভক্ত টমাস জেফারসন এই সম্স্ত খাবারই সর্বপ্রথম আমেরিকায় প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া খাবারগুলি জনপ্রিয় হওয়া সম্ভব ছিল না।

Follow Us

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন টমাস জেফারসন (President Thomas Jefferson)। থমাস জেফারসনের জন্ম ১৭৪৩ সালের ১৩ এপ্রিল, ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলায়। ছোটবেলা থেকেই জেফারসনের জ্ঞানস্পৃহা ছিল দেখার মতো। নিজের বয়সের চাইতেও বড়দের জন্য উপযুক্ত বই পড়ে সকলকে চমকে দিতেন তিনি। প্রতিভাশালী জেফারসন ছোটবেলায় সারাদিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন! এমনকী গানও শিখতেন। বাজাতেন পিয়ানো! ১৭৬৭ সালে, ২৪ বছর বয়সে আইনব্যবসা শুরু করেন। দ্রুত যথেষ্ট পসার জমিয়ে ফেলেন। তখনও আমেরিকা ব্রিটিশদের উপনিবেশ। দেশপ্রেমী জেফারসন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন। একসময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়েন। স্বাধীনতার পরে ১৮০১ সালের ৪ মার্চ আমেরিকার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নির্বাচিত হন।

প্রশ্ন হল, ইতিহাসের বুকে হঠাৎ করে কোদাল চালানোর দরকার পড়ল কেন? কারণ আর কিছুই নয়। জেফরাসন আমেরিকাকে সুশাসনের সঙ্গে একাধিক এমন সব জিনিস উপহার দিয়েছিলেন যে আমেরিকার সঙ্গে সারা পৃথিবীর মানুষেরও সম্ভবত তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত! কারণ আপনি যদি ম্যাকারনি (পাস্তা), চিজ, আইসক্রিম, ফ্রেঞ্চ ফাই এবং পারমেসান পনিরের ভক্ত হন তাহলে আপনাকে জেফারসনকে কুর্নিশ জানাতেই হবে! কার্বস-এর বিশেষ ভক্ত টমাস জেফারসন এই সম্স্ত খাবারই সর্বপ্রথম আমেরিকায় প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া খাবারগুলি জনপ্রিয় হওয়া সম্ভব ছিল না। এক্ষণে প্রশ্ন উঠতে পারে, কীভাবে তিনি এমন কাজ করলেন? দেখা যাক—

আইসক্রিম

না টমাস জেফারসন আইসক্রিম আবিষ্কার করেননি। তবে জানা যায়, রাজনৈতিক কারণে ফ্রান্সে থাকাকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৭৮৪ থেকে ১৭৮৯ সালের মধ্যে টমাস জেফারসন প্রথম আইসক্রিমের সঙ্গে আলাপ জমান।

বাড়ি ফেরার সময় তিনি আইসক্রিম তৈরির প্রণালী শিখে আসেন। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন আইসক্রিম তৈরির ফ্রিজার যাতে বাকি জীবনে আইসক্রিমের স্বাদ থেকে তাঁকে বঞ্চিত না হতে হয়! প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নানা অনুষ্ঠানে তিনি অতিথিদের মধ্যে আইসক্রিম পরিবেশন করার ব্যবস্থা করতেন! এর ফলে দ্রুত আইসক্রিম নিয়ে ঔৎসুক্য গড়ে ওঠে।

জেফারসনের নিজের হাতে আইসক্রিমের রেসিপি লিখে রেখেছিলেন একটি খাতায়। সেই খাতাটি রয়ে গিয়েছে লাইব্রেরি অব কংগ্রেস পাঠাগারে।

ম্যাকারনি এবং চিজ

আইসক্রিমের মতোই ফ্রান্সে থাকার সময় তিনি পাস্তা ও চিজের সঙ্গেও পরিচিত হয়েছিলেন। এমনকী ম্যাকারনি নিয়ে তিনি এতটাই উৎসাহিত হয়ে পড়েন যে ম্যাকারনি তৈরির মেশিনের নকশাও এঁকে ফেলেন! ১৮০২ সালে হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় ম্যাকারনি! আর সেই যুগে হোয়াইট হাউজে যে পদ পরিবেশিত হতো তাই হয়ে উঠত নগরের আলোচনার বিষয়। সাধারণ মানুষও এই বিশেষ খাদ্যটির সম্পর্কে জানতে চায় ও একসময় খাদ্যটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই

ফ্রান্স থেকেই আলু ভাজার ধারণা নিয়ে দেশে ফেরেন জেফারসন। তিনি ভাজা আলু খেতে পছন্দই করতেন। তবে সেই আলু কাটা হতো গোল করে। তবে ধীরে সেই আলু কাঠির আকার ধারণ করে।

শ্যাম্পেন

ফ্রান্সের উমদা কিছু শ্যাম্পেন সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন টমাস জেফারসন। অনুষ্ঠানে সেই শ্যাম্পেনই অভ্যাগতর গ্লাসে ঢেলে দেওয়া হতো। তিনি শ্যাম্পেনের এমন ভক্ত ছিলেন যে টুথব্রাশ রাখার জায়গাতেই রাখতেন কর্ক স্ক্রু!

পারমেসান পনির

ম্যাকারনি এবং চিজের মতোই পারমেসান পনিরের গল্পও আসলে এসেছে ফ্রান্স থেকেই। তিনি চেয়েছিলেন আমেরিকাতেও তৈরি হোক পারমেসান পনির। তবে শীঘ্রই তিনি বোঝেন, আমেরিকায় প্রস্তুত পনিরের সঙ্গে খাঁটি পারমেসান পনিরের আকাশ পাতাল তফাত। কারণ পারমেসান পনির তৈরি হয় ইটালিয়ান গাভীর দুধ থেকে। তবে তারপরেও পারমেসান পনিরের প্রতি আগ্রহ কমেনি।

আসলে জেফারসন ছিলেন সত্যিকারের জ্ঞানসাধক। জীবনের একাধিক দিক সম্পর্কে জানার জন্য ছিল তাঁর প্রবল আগ্রহ। এই কারণেই ফ্রান্স থেকে সেরা খাবারের রেসিপি লিখে আনতেও লজ্জা পাননি তিনি। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে তাঁর অবদান ভোলার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তাঁর পূর্ণ ভাস্কর্য রাখা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমও তিনি ঠিক করে দেন। তাঁর সংগ্রহে ছিল কয়েকহাজার বই। মৃত্যুর আগে অসংখ্য বই তিনি সামান্য মূলে দিয়ে দেন পাঠাগার তৈরির উদ্দেশ্যে। ১৮২৬ সালের ৪ জুলাই পরলোক গমন করেন টমাস জেফারসন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন টমাস জেফারসন (President Thomas Jefferson)। থমাস জেফারসনের জন্ম ১৭৪৩ সালের ১৩ এপ্রিল, ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলায়। ছোটবেলা থেকেই জেফারসনের জ্ঞানস্পৃহা ছিল দেখার মতো। নিজের বয়সের চাইতেও বড়দের জন্য উপযুক্ত বই পড়ে সকলকে চমকে দিতেন তিনি। প্রতিভাশালী জেফারসন ছোটবেলায় সারাদিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন! এমনকী গানও শিখতেন। বাজাতেন পিয়ানো! ১৭৬৭ সালে, ২৪ বছর বয়সে আইনব্যবসা শুরু করেন। দ্রুত যথেষ্ট পসার জমিয়ে ফেলেন। তখনও আমেরিকা ব্রিটিশদের উপনিবেশ। দেশপ্রেমী জেফারসন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন। একসময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়েন। স্বাধীনতার পরে ১৮০১ সালের ৪ মার্চ আমেরিকার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নির্বাচিত হন।

প্রশ্ন হল, ইতিহাসের বুকে হঠাৎ করে কোদাল চালানোর দরকার পড়ল কেন? কারণ আর কিছুই নয়। জেফরাসন আমেরিকাকে সুশাসনের সঙ্গে একাধিক এমন সব জিনিস উপহার দিয়েছিলেন যে আমেরিকার সঙ্গে সারা পৃথিবীর মানুষেরও সম্ভবত তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত! কারণ আপনি যদি ম্যাকারনি (পাস্তা), চিজ, আইসক্রিম, ফ্রেঞ্চ ফাই এবং পারমেসান পনিরের ভক্ত হন তাহলে আপনাকে জেফারসনকে কুর্নিশ জানাতেই হবে! কার্বস-এর বিশেষ ভক্ত টমাস জেফারসন এই সম্স্ত খাবারই সর্বপ্রথম আমেরিকায় প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া খাবারগুলি জনপ্রিয় হওয়া সম্ভব ছিল না। এক্ষণে প্রশ্ন উঠতে পারে, কীভাবে তিনি এমন কাজ করলেন? দেখা যাক—

আইসক্রিম

না টমাস জেফারসন আইসক্রিম আবিষ্কার করেননি। তবে জানা যায়, রাজনৈতিক কারণে ফ্রান্সে থাকাকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৭৮৪ থেকে ১৭৮৯ সালের মধ্যে টমাস জেফারসন প্রথম আইসক্রিমের সঙ্গে আলাপ জমান।

বাড়ি ফেরার সময় তিনি আইসক্রিম তৈরির প্রণালী শিখে আসেন। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন আইসক্রিম তৈরির ফ্রিজার যাতে বাকি জীবনে আইসক্রিমের স্বাদ থেকে তাঁকে বঞ্চিত না হতে হয়! প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নানা অনুষ্ঠানে তিনি অতিথিদের মধ্যে আইসক্রিম পরিবেশন করার ব্যবস্থা করতেন! এর ফলে দ্রুত আইসক্রিম নিয়ে ঔৎসুক্য গড়ে ওঠে।

জেফারসনের নিজের হাতে আইসক্রিমের রেসিপি লিখে রেখেছিলেন একটি খাতায়। সেই খাতাটি রয়ে গিয়েছে লাইব্রেরি অব কংগ্রেস পাঠাগারে।

ম্যাকারনি এবং চিজ

আইসক্রিমের মতোই ফ্রান্সে থাকার সময় তিনি পাস্তা ও চিজের সঙ্গেও পরিচিত হয়েছিলেন। এমনকী ম্যাকারনি নিয়ে তিনি এতটাই উৎসাহিত হয়ে পড়েন যে ম্যাকারনি তৈরির মেশিনের নকশাও এঁকে ফেলেন! ১৮০২ সালে হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় ম্যাকারনি! আর সেই যুগে হোয়াইট হাউজে যে পদ পরিবেশিত হতো তাই হয়ে উঠত নগরের আলোচনার বিষয়। সাধারণ মানুষও এই বিশেষ খাদ্যটির সম্পর্কে জানতে চায় ও একসময় খাদ্যটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই

ফ্রান্স থেকেই আলু ভাজার ধারণা নিয়ে দেশে ফেরেন জেফারসন। তিনি ভাজা আলু খেতে পছন্দই করতেন। তবে সেই আলু কাটা হতো গোল করে। তবে ধীরে সেই আলু কাঠির আকার ধারণ করে।

শ্যাম্পেন

ফ্রান্সের উমদা কিছু শ্যাম্পেন সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন টমাস জেফারসন। অনুষ্ঠানে সেই শ্যাম্পেনই অভ্যাগতর গ্লাসে ঢেলে দেওয়া হতো। তিনি শ্যাম্পেনের এমন ভক্ত ছিলেন যে টুথব্রাশ রাখার জায়গাতেই রাখতেন কর্ক স্ক্রু!

পারমেসান পনির

ম্যাকারনি এবং চিজের মতোই পারমেসান পনিরের গল্পও আসলে এসেছে ফ্রান্স থেকেই। তিনি চেয়েছিলেন আমেরিকাতেও তৈরি হোক পারমেসান পনির। তবে শীঘ্রই তিনি বোঝেন, আমেরিকায় প্রস্তুত পনিরের সঙ্গে খাঁটি পারমেসান পনিরের আকাশ পাতাল তফাত। কারণ পারমেসান পনির তৈরি হয় ইটালিয়ান গাভীর দুধ থেকে। তবে তারপরেও পারমেসান পনিরের প্রতি আগ্রহ কমেনি।

আসলে জেফারসন ছিলেন সত্যিকারের জ্ঞানসাধক। জীবনের একাধিক দিক সম্পর্কে জানার জন্য ছিল তাঁর প্রবল আগ্রহ। এই কারণেই ফ্রান্স থেকে সেরা খাবারের রেসিপি লিখে আনতেও লজ্জা পাননি তিনি। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে তাঁর অবদান ভোলার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তাঁর পূর্ণ ভাস্কর্য রাখা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমও তিনি ঠিক করে দেন। তাঁর সংগ্রহে ছিল কয়েকহাজার বই। মৃত্যুর আগে অসংখ্য বই তিনি সামান্য মূলে দিয়ে দেন পাঠাগার তৈরির উদ্দেশ্যে। ১৮২৬ সালের ৪ জুলাই পরলোক গমন করেন টমাস জেফারসন।

Next Article