খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল পাইলস বা কোষ্ঠকাঠিন্য। পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার না খাওয়া, জল না খাওয়া, কোনও রকম পরিশ্রম না করে সারাদিন বসে থাকা এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা রয়েছে পাইলসের মূলে। পেট পরিষ্কার না হলে খুবই কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে যার সমস্যা হয় সেই বোঝে এর কষ্ট কতখানি। দিনের পর দিন পেট পরিষ্কার না হয় তখনই কিন্তু পাইলসের সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। পাইলস হলে মলদ্বারের শিরা ফুলে যায়। বাইরের অংশে মাংসপিন্ডও দেখা যায়। এই অবস্থা যদি গুরুতর হয় তাহলে সেখান থেকে রক্তপাত হয়। আর মলত্যাগে মারাত্মক কষ্ট হয়। সঙ্গে জ্বালাপোড়া ভাব, চুলকানি এমন অনুভূতিও কিন্তু থাকে।
পাইলসের চিকিৎসায় এখন অনেক রকম ওষুধ পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে অস্ত্রোপচারের সুযোগও। অনেক ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন তবে। তবে কিছু মানুষের দাবি অপারেশন হলেও পাইলস ফিরে আসে। যদিও এমনটা হওয়ার কথা নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি পরিবর্তন আনুন নিজের খাদ্যতালিকাতেও। রোজ প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি খেতে হবে। কারণ এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। গরম দুধ খান, ওটস খান। এতে পাইলসের সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও রোজের ডায়েটে যে সব সবজি অবশ্যই রাখবেন-
বাঁধাকপি, ব্রকোলি, ফুলকপি এসব রোজ খেতে পারলে খুব ভাল। এই সব সবজির মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণাতে দেখা গিয়েছে বাঁধাকপির মধ্যে অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর তাই তা শরীরের জন্য এত ভাল।
এছাড়াও রাঙাআলু, গাজর, বিটরুট এসবও রোজ খেতে পারলে ভাল। এই সব সবজির মধ্যেও থাকে প্রচুর ফাইবার। এই প্রতিটি সবজি থেকে ৩-৫ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়।
পাইলস রোগীদের জন্য কিন্তু ক্যাপসিকামও খুব ভাল। ৯২ গ্রাম ক্যাপসিকামের মধ্যে থাকে ২ গ্রাম ফাইবার। এর পাশাপাশি খেতে পারেন বেলপেপারও। এছাড়াও ক্যাপসিকামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। যে কারণে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। পার্সলে পাতাও এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে। স্যালাড, স্যুপে এই পাতা মন খুলে ব্যবহার করুন।
গরমের দিনে শসার মত ফল আর হয় না। আর পাইলস রোগীদের জন্যেও খুব ভাল। কারণ শসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে জল। তবে আমরা ভুল করি শসার ছাল ছাড়িয়ে। শসা কিন্তু ছাল সমেতই খাওয়া উচিত।
আলু আর টমেটো আমাদের রান্নাঘরে থাকেই। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও তা খুব ভাল কাজ করে। আলুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। তবে আলু বেকড খেতে পারলে সবচাইতে ভাল। সেই সঙ্গে টমেটোর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। আছে ফাইবার। আর তাই কোষ্ঠকাঠিন্য রুখতে খুব ভাল কাজ করে টমেটো।