AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cucumber: নিয়মিত খেলে ওজন কমে, তবে গরমের দিনে বেশি শসা খেলে হতে পারে বিপত্তি

Disadvantages of cucumber: ওজন কমাতে হবে বলেই যদি জোর-জবরদস্তি ভাবে সারাদিন শসা খান তাহলে শসা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যা এসে জমা হয়...

Cucumber: নিয়মিত খেলে ওজন কমে, তবে গরমের দিনে বেশি শসা খেলে হতে পারে বিপত্তি
যে কারণে অতিরিক্ত শসা শরীরের জন্য খারাপ
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2022 | 9:57 PM
Share

Cucumber side effects: চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তাপপ্রবাহের সতর্কতা রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতাতেও তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই গরম এতই নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে যে ঘরে টেকা দায়। ফ্যানের তলাতে বসেও দরদরিয়ে ঘাম হচ্ছে। আর কাজের প্রয়োজনে যাঁদের রোজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হচ্ছে তাঁদের পরিস্থিতি আরও জটিল। বার বার স্নান করে, এসি-ফ্যানের হাওয়া খেয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। পুড়ছে ত্বক, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা, পেটের গোলমাল থেকে ডিহাইড্রেশন লেগেই রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে বৃষ্টির হাহাকার। কিন্তু সেই বৃষ্টির দেখা আপাতত কপালে নেই।

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে হালকা খাবার, কম তেলমশলা, জল, স্যুপ, ফল, ফলের রস এসবই বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গরমের ফল বলতেই তালিকায় একেবারে প্রথমেই থাকে শসা আর তরমুজ। শসার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই জল। এছাড়াও ক্যালোরি একেবারেই থাকে না। থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও শসা কিন্তু আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও গরমের দিনে চাহিদা বাড়ে শসা-পেঁয়াজের স্যালাডেরও। বানানো হয় শসার রায়তাও। শরীরকে ‘কুলিং এফেক্ট’ দিতে যে শসার জুড়ি মেলা ভার একথা প্রমাণিত। শসার মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখে। কিন্তু জানেন কি অতিরুক্ত শসাও শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়?

শসা বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফেঁপে যায়। সেখান থেকে খাবার হজমে সমস্যা হয়। এছাড়াও গ্যাস, অম্বলের সম্ভাবনাও অনেকখানি বেড়ে যায়। এছাড়াও শসা হজম হতেও কিন্তু সময় লাগে। অনেকেই ভাবেন সারাদিন খাবার না খেয়ে বুঝি দই আর শসা খেয়ে থাকলেই ওজন কমে যাবে। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। এছাড়াও শসার তেতো ছাড়িয়ে খেতে হয়। আর এই তেতো স্বাজের জন্য দায়ী কুকুরবিটেসিন। এই কুকুরবিটেসিন যদি শরীরে বেশি পরিমাণে যায় তাহলে কিন্তু একাধিক সমস্যা আসতে পারে।

যেমন- 

*শসার মধ্যে কোনও ক্যালোরি নেই। বেশিরভাগই জল। সেই সঙ্গে শসা হজমে সাহায্য করে। কিন্তু ওজন কমাতে হবে বলেই যদি জোর-জবরদস্তি ভাবে সারাদিন শসা খান তাহলে শসা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। শরীরে পুষ্টির অভাব হলে শারীরিক নানা সমস্যা আসে। এছাড়াও শসা রক্তে সুগারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে পারে। এতিরিক্ত সুগার কমে গেলে কিন্তু ক্লান্তি আসে, মাথা ঘোরার মত সমস্যা ও হতে পারে।

*তাই গরমে শসা খেলে মেপে খান। শসা খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে জল খাবেন না। তেমনই শসা খেলে ভাল করে ছাড়িয়ে, ধুয়ে তেতো অংশ ফেলে তবেই খাবেন। তেতো শসা কিন্তু কোনও ভাবেই খাবেন না।

*শসা থেকে অ্যালার্জির সমল্যাও হয়। যদি দেখেন যে মুখে শসার রস লাগালে লাল হয়ে যাচ্ছে তাহলে কিন্তু একেবারেই শসা খাবেন না। এতে হজমে অসুবিধে হবে।

কোন সময়ে শসা খাবেন? 

১.বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রেকফাস্ট কিংবা ডিনারে নয়, শসা খান দুপুরে ভাতের সঙ্গে। তবুও পাঁচ থেকে ছ’ স্লাইস। এর বেশি একেবারেই নয়।

২.রাতে মোগলাই পরোটা হোক বা ডিমের ডেভিল- কোনও কিছুর সঙ্গেই কিন্তু শসা চলবে না।

৩.গ্যাস অম্বলের সমস্যা থাকলে শসা এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।

আরও পড়ুন: Soaked Fig Benefits: গ্রাম্য হলেও ফেলনা নয়, রোজ ডুমুরের জল খেলে হবে একগুচ্ছ সমস্যার সমাধান