ডায়াবিটিসের মতই কিন্তু এখন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এর আগে নির্দিষ্ট বয়স পর এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যেত। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। আর তাই কম বয়সিদের মধ্যেও কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনও লক্ষণ নেই। ফলে সহজে তা কিন্তু ধরাও পড়ে না। কিন্তু জীবনযাত্রা এবং ডায়েটে পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা সহজেই ঠেকানো সম্ভব। এছাড়াও মাজেমধ্যেই নিজের রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে। অনেকের পারিবারিক ইতিহাসে থাকে এই সমস্যা। সেখান থেকেও কিন্তু আসতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের মস্যা হলেই যে মুঠো মুঠো ওষুধ খেতে হবে এমন কিন্তু নয়। বরং রোজকার খাদ্য তালিকায় আনুন পরিবর্তন। সেই সঙ্গে অবশ্যই রাখুন এই কয়েকটি খাবার। উপকার পাবেন।
বিটরুট- বিটের রস খেতে পারলে কিন্তু এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে টানা একমাস যদি কেু বিটের রস খেতে পারেন তাহলে তাঁর রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। কাঁচা বা রান্না করা যে কোনও অবস্থাতেই তা খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কাঁচা বিট কাজ করে সবচাইতে ভাল।
তরমুজ- গরমে বাজার ছেয়ে গিয়েছে তরমুজে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কাজ করে কিন্তু এই তরমুজ। তরমুজের মধ্যে রয়েছে সিট্রুলাইন নাইট্রিক অক্সাইড যা রক্তনালীকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপও কমায়।
ওটস-ওজন কমাতে যেমন ওটস সাহায্য করে তেমনই কিন্তু রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। ওটসের মধ্যে রয়েছে বিটা-গ্লুকান যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওটসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রসুন-রসুনের মধ্যে কিন্তু নানা গুণ রয়েছে। এককোয়া রসুনের মধ্যে যে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে। সেই সঙ্গে রক্তনালীকে শিথিল করে ও রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও রসুনে উপস্থিত অ্যালিসিন মানবদেহের জন্য উপকারী।
বেদানা-রোজ বেদানার রসও কিন্তু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। বেদানা হার্টের রোগীদের জন্য খুবই ভাল। সেই সঙ্গে বেদানার মধ্যে রয়েছে সিরাম এনজিওটেনসিন- যা হরমোনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। নিয়মিত ভাবে এই জুস খেতে পারলে কিন্তু খুবই ভাল।
শাক-পুষ্টির আধারঘর হল শাকসবজি। রোজকার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখুন। এতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে শরীরও থাকবে ভাল। মূলত পালংশাক, সরষে শাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি কিন্তু অবশ্যই রাখবেন।
কলা-কলার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। সেই সঙ্গে থাকে সোডিয়ামও। যা শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে রোজ কলা খেতে পারলে কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও থাকে নিয়ন্ত্রণে।