Black Raisins: রোজ সকালে খালি পেটে এই পানীয় এক সপ্তাহ, ফল পান হাতে-নাতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

May 09, 2022 | 7:23 AM

Health Tips: কিশমিশে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। যে কারণে তা স্বাস্থ্যের জন্য এত ভাল

Black Raisins: রোজ সকালে খালি পেটে এই পানীয় এক সপ্তাহ, ফল পান হাতে-নাতে
রোজ সকালে খেলেই মিলবে হাতে-নাতে উপকার

Follow Us

Health Benefits of Black Raisins: নানা রঙের কিশমিশ পাওয়া যায়। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই কালো কিশমিশ। কেক, পায়েস, ওটস, স্মুদি কিংবা যে কোনও ডেজার্ট তৈরিতে এই কিশমিশের চাহিদাই কিন্তু সবচাইতে বেশি। স্বাদ এবং গন্ধের দিক থেকেও কালো কিশমিশ (Black Raisins) কিন্তু সেরা। ক্ষেতের টাটকা আঙুর থেকে তৈরি করা হয় এই কিশমিশ। ফলে অন্যান্য কিশমিশের তুলনায় এই কালো কিশমিশ খেতে এত ভাল হয়। এছাড়াও এই কিশমিশে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। যে কারণে তা স্বাস্থ্যের জন্য এত ভাল। আর এই কিশমিশ যে খাবারে ব্যবহার করা হয় সেই খাবারে অতিরিক্ত চিনি কিংবা প্রিজারভেটিভেরও কিন্তু প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও রোজ কালো কিশমিশ ভেজানো জল খেলে সেখান থেকেও একাধিক উপকার পাওয়া যায়।

তবে এই কিশমিশের কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে 

প্রোটিনে ভরপুর- এই কিশমিশের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ রকম উপকারী। পেশি, হাড়ের গঠনে এবং তরুণাস্থির বিকাশে সাহায্য করে এই প্রোটিন। সেই সঙ্গে শরীরের Ph-ভারসাম্য বজায় রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই কালো কিশমিশের। শরীরের প্রয়োজনীয় জৈব-রাসায়নিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ও তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজে আসে কালো কিশমিশেরস গুণাগুণ।

চোখের জন্য ভাল- চোখের স্বাস্থ্যরক্ষাতেও কিন্তু ভীষণ রকম উপকারী হল এই কালো কিশমিশ। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল, ফ্ল্যাভিনয়েড চোখকে ক্ষতিকর সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। বয়সকালে চোখে ছানি পড়া, গ্লুকোমা, ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি এসবের থেকেও রেহাই পাওয়া যায় যদি রোজ রাতে একগ্লাস গরম দুধে এই কালো কিশমিশ ফেলে খান।

ব্রণর সমস্যায়- যাঁদের ত্বক অয়েলি তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। আর ত্বকে তেলের পরিমাণ বেশি হলে ব্রণর সমস্যা হবেই। ত্বকের ছিদ্রের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ, বিভিন্ন ময়লা ও ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে আসে। কিন্তু ত্বকের পোরস বন্ধ হয়ে গেলে তা আর বেরনোর সুযোগ পায় না। এই সুযোগ না পেলে সেখান থেকেই কিন্তু আসে নানাবিধ সমস্যা। এই কালো কিশমিশ শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে পরিষ্কার। রক্ত চলাচলও ঠিকমতো হয়। আর শরীরের ডিটক্সিফিকেশন ভাল হলেই কিন্তু ব্রণর সমস্যা কম হবে। হবে না পিম্পলও।

অ্যানিমিয়াতে ভুগলে- কালো কিশমিশ বা ব্ল্যাক রেইজিনের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, আছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। যা আমাদের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। যে কারণে যাঁরা পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছেন বা যাঁদের শরীরে রক্ত কম তাঁদের নিয়ম করে কিশমিশ ভেজানো জল খেতে বলা হয়। এতে শরীর যেমন প্রয়োজনীয় পুষ্টি, খনিজ পায় তেমনই কিন্তু কোশে অক্সিজেনও পৌঁছয়। যে কোনও ফল, সবজির তুলনায় এই কালো কিশমিশে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে। এছাড়াও ত্বকের কালো দাগ-ছোপ তুলতেও এই কিশমিশ খুব কার্যকরী।

চুল পড়া কমায়- যাঁরা নিয়মিত ভাবে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও কিন্তু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন এই কালো কিশমিশ। চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমায়। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিএক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের ডিটক্সিফিকেশনও ভাল হয়। ফলে ত্বক ভাল থাকে। আর আয়রন, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম থাকায় তা শরীরের সংযোগকারী টিস্যুর গঠনেও সাহায্যয় করে।

Next Article
Shigella Bacteria: শোওরমা রোল পছন্দ করেন? সাবধাণ, হতে পারে প্রাণহানিও…
Muskmelon: নামে কুমড়ো হলেও প্রতি কামড়ে ছক্কা, গরমে রোজ কেন খাবেন?