দাম হলেও ইলিশ খাওয়ার সুযোগ বাঙালি ছাড়ে না। ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশ, কালো জিরে দিয়ে ইলিশের ঝোল—এসব বেশি খাওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ইলিশ ভর্তাও এখন বাংলায় হিট। কিন্তু ওপার বাংলার মতো ইলিশের বিরিয়ানি রাঁধতে সকলে পারে না। ইলিশ বিরিয়ানি বানানো সবচেয়ে সহজ। খুব বেশি মশলা ও উপকরণের প্রয়োজন নেই ইলিশ বিরিয়ানি বানানোর জন্য। মাছ, চাল, তেল আর লঙ্কা, হলুদ, নুন থাকলেই আপনি সহজেই ইলিশ বিরিয়ানি রাঁধতে পারবেন। সেই রেসিপিই রইল আপনাদের জন্য।
ইলিশ বিরিয়ানি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১ কেজি ইলিশ মাছ, ১ কেজি বাসমতি চাল (গোবিন্দভোগ চালও নিতে পারেন), পরিমাণ মতো সর্ষের তেল, ১ চা চামচ কালো জিরে, ৪ টি কাঁচা লঙ্কা, ২ চামচ হলুদ, ১ চামচ বেরেস্তা, এক মুঠো ধনে পাতা কুচি ১২ কাপ গরম জল এবং পরিমাণ মতো নুন ও হলুদ।
ইলিশ বিরিয়ানি তৈরি করার পদ্ধতি:
প্রথমে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে রেখে দিন। ইলিশ মাছটা কেটে নিন। নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিন। মাছগুলো সর্ষের তেলে ভাল করে ভেজে তুলে নিন। এবার চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার যে তেলে মাছ ভেজে ছিলেন, ওই তেলেই কাঁচা লঙ্কা ও কালো জিরে ফোড়ন দিন। তারপর এতে ধুয়ে রাখা চালটা দিয়ে দিন। মিশ্রণটা মিনিট পাঁচেক ভাল করে ভেজে নিন। এবার একটি বড় সসপ্যানে কিংবা প্রেশার কুকারে অল্প সর্ষের তেল দিন। তার উপর ভাজা মাছগুলো সাজিয়ে দিন। তার উপর চাল ছড়িয়ে দিন। এভাবে দু’টি স্তরে মাছ ও চাল সাজিয়ে দিন। এবার গরম জলে নুন গলে উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন। প্রেশারে কুকারে রাঁধলে ঢাকনা এঁটে দিন। যদি সসপ্যানে বিরিয়ানি রাঁধেন, তাহলে ঢাকনা দিয়ে দিন। যদি কোনও অংশ দিয়ে ভাপ বা বাষ্প বেরোতে থাকে, সেখানটাও কোনও কাগজ বা আটা মাখা দিয়ে বন্ধ করে দিন। এভাবে আধ ঘণ্টা আঁচে রেখে দিন। তৈরি হয়ে যাবে ইলিশ মাছের বিরিয়ানি। উপর দিয়ে বেরেস্তা ও ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। পরিবেশনের সময় হাতা দিয়ে ধীরে ধীরে মাছ ও ভাত তুলবেন। কারণ ভাপে মাছ অতিরিক্ত সেদ্ধ হয়ে যেতে পারে এবং একটু সতর্ক হলেই মাছগুলো ভেঙে যেতে পারে।