দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমে সকলেরই ওজন খানিকটা হলেও বেড়েছে। এছাড়াও আজকাল কর্মব্যস্ততা অত্যন্ত বেশি। বেশিরভাগেরই সারাদিনে অফিসে বসে কাজ। সেই সঙ্গে নেই শরীরর্চার অবসরও। মেদ তো আর একদিনে জমে না। দীর্ঘদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া করলে তবেই তা জমে যায়। আর এই বাড়তি মেদ ঝরানো কিন্তু খুব মুশকিল। খাওয়া একরকমের অভ্যাস। যে ভাবে খাবার খাওয়া হবে আমাদের পেটও সেই ভাবেই অভ্যস্ত হবে। বেশি খেতে খেতে এমন একটা পর্যায় আসে যখন কম খেলে পেট ভরে না। খিদে পায়। মেটাবলিজমও কমে যায়। মেটাবলিজম কমে গেলে ওজন ঝরানো খুব মুশকিলের হয়ে যায়। আর তাই রোজ সকালে বানিয়ে নিন এই ডিটক্স ড্রিংক। এতে বাড়বে মেটাবলিজম, কমবে খিদে। ফলে মেদও ঝরবে তাড়াতাড়ি।
গরম কালে জল, ফল, লস্যি এসব বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ বাড়িতেই পুরো গরম জপড়ে খাওয়া হয় টকই। তালিকায় থাকে তরমুজ। আর এই সবটি খাবার কিন্তু আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গরমের দিনে কেউই মশলাদার খাবার খান না। সকলেই চান অতিরিক্ত তেলমশলা এড়িয়ে চলতে। গরমের দিনে ঘামও বেশি হয়। ঘাম বেশি হলে অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচা হয়, ডিটক্সিফিকেশন ভাল হয়। যেখান থেকে মেটাবলিজম বাড়ে। হজম ভাল হয়। গরমের দিনে শসা, তরমুজ এসব ফল বেশি করে খাওয়া হয়। ডিটক্স ওয়াটার বানাতে শসার চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে। শসা আমাদের শরীরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রে়টেড রাখে। এছাড়াও শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে। হজম ভাল হয়। খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। যে কারণে শসার জল খেতে বলা হয়।
কী ভাবে খাবেন শসার জল
শসা, লেবু স্লাইস করে কেটে নিন। এবার একটা জারের মধ্যে জল দিয়ে ওর মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন ৬ ঘন্টা। চাইলে দিতে পারেন কয়েকটা পুদিনা পাতাও। সারা দিন এই জল খান।
ছোট শসার স্লাইস জলের মধ্যে ফেলে রাখুন ৬ ঘন্টা। পরদিন সকালে উঠে ওই জল আগে খান। এতেও মিটবে শরীরের জলের চাহিদা। সেই সঙ্গে ডিটক্সিফিকেশন হবে আর হজমও ভাল হবে। এই ভাবে শসার জল খেলে খিদে থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
শসা, পুদিনা, তুলসি দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে রোজ খালি পেটে খান। একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই জলের।