ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই রোজকার খাবার থেকে ফাস্টফুড বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ফাস্টফুডের মধ্যে রোল, চাউমিন, প্যাটিস, পিৎজা থেকে শুরু করে চিপস সবই থাকে। পিৎজার মধ্যে ক্যালোরি বেশি থাকে, ফ্যাট, সোডিয়ামের পরিমাণও থাকে অনেকটা বেশি। ফলে দিনরাত পিৎজা খেলে হৃদরোগ আসবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, পিৎজা খেয়ে ওজন কমানো যায়? শুনে অবাক হচ্ছেন? তবে এমনটাই কিন্তু হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা রায়ান মার্সার। চ্যালেঞ্জ নিয়ে টানা ৩০ দিন পিৎজা খেয়েই ওজন কমালেন তিনি। ৩০ দিনে ৩ বেলা করে পিৎজা খেতেন ওই যুবক। সারাদিনে তাঁর বরাদ্দ ছিল ১০ টি স্লাইস। এই কয়েকদিন পিৎজা ছাড়া অন্য কোনও রকম খাবার তিনি খাননি। সব রকম জাঙ্কফুড, ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করে দেন।
তবে রায়ানের এমন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার নেপথ্যে বিশেষ একটি কারণ ছিল। ওজন কমাতে হলে প্রথমেই ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এমনকী পুষ্টিবিদরাও তাই বলেন। রায়ান পিৎজা খেতে খুবই ভালবাসেন আর পিৎজা যে ফাস্টফুড এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর তাই প্রিয় পিৎজা খেয়েও যে ওজন কমানো যায় তা প্রমাণ করতেই শুধুমাত্র পিৎজা খেয়ে ছিলেন। একইসঙ্গে রায়ান আরও একটি ভাল কাজ করেছেন। তিনি মূলত জোর দিয়েছেন রোজকার ক্যালোরির উপর। তাঁর কথায় কত ক্যালোরির খাবার খাওয়া হচ্ছে আর কতটা ঝরিয়ে ফেলা হচ্ছে তা দেখে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ডায়েট মাসে পিৎজার পাশাপাশি রোজ মরশুমি ফল আর শাকসবজিও তিনি খেয়েছেন।
তবে পিৎজা তিনি বানিয়ে নিতেন বাড়িতেই। ময়দা নয়, তা বানাতেন আটা দিয়েই। রায়ান জানান, পিৎজা বানাতেই তাঁর বেশি সময় যেত। একেবারে ক্যালোরি মেনেই তিনি তা বানিয়ে নিতেন বাড়িতে। রোজ ১৮০০- ২০১০ ক্যালোরির খাবার তিনি খেতেন। শুধু শনিবার ২৭০০ ক্যালোরির খাবার খেতেন। সারাদিনের খাবারকে মোট ৭ টি ভাগে তিনি ভাগ করতেন। এই ১ মাসে তাঁর ওজন কমখানি কমেছে তা স্পষ্ট করে না বললেও রোজ যে ক্যালোরি মেপেই খেতে হবে এ ব্যাপারে বিশেষ পরামর্শ তিনি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে পছন্দের খাবার স্বাস্থ্যকর উপায়ে বাড়িতে বানিয়ে নেওয়ার পরামর্শই তিনি দিয়েছেন।