শুরু হয়েছে চৈত্র নবরাত্রি। আর এই নবরাত্রিতে অনেকেই কিন্তু উপবাস রাখেন। এই ন দিন হয় দুর্গার আরাধনা। এছাড়াও এই নবরাত্রির মধ্যেই থাকে বাসন্তী পূজো, অন্নপূর্ণা পুজো। আর তাই নবরাত্রিতে বিশেষ পুজোর আয়োজনও করেন অনেকে। বলা হয় এই ন দিন নিষ্ঠাভরে উপবাস করলে দেবীর কৃপা পাওয়া যায়। অনেক রকম সমস্যা থেকেও কিন্তু মুক্তি পাওয়া যায়। আবার অনেকে নবরাত্রির উপবাস করেন শরীরের ডি টক্সিফিকেশনের জন্য। কারণ এই উপবাস ঠিক ভাবে করতে পারলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে সেই সঙ্গে হজমের কোনও সমস্যাও থাকে না। তবে সারাদিন কাওয়া হচ্ছে না বলে যে তেলেভাজা কোনও খাবার খেতে হবে এমন কিন্তু নয়। কিংবা উপবাস ভঙ্গ করে মিষ্টিও খাবেন না। পরিবর্তে এই চিল্লা বানিয়ে খান।
সাবুর এই চিল্লা বানানো যেমন সহজ তেমনই খেতেও কিন্তু বেশ ভাল হয়। বড় মাপের সাবুদানা আগের রাত্রে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন তা জল থেকে তুলে নিয়ে খুব ভাল করে আগে জল ঝেরে নিতে হবে। এবার ওর মধ্যে একটা সিদ্ধ করে রাখা আলু গ্রেট করে দিন। এবার ধনেপাতা কুচি, লঙ্কা কুচি, ১ চামচ কারিপাতা কুচি, ১ চামচ আটা, ২ চামচ বাদামের গুঁড়ো, ১ চামচ ধনেগুঁড়ো মিশিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিতে হবে। স্বাদমতো নুন দিন। এই চিল্লা বেশ মুচমুচে হবে। ভাল করে মেখে নিয়ে ওই মিশ্রণে সাদা তেল বুলিয়ে রেখে দিন। এবার মিশ্রণ থেকে বড় মাপের লেচি কাটুন। লেচি কেটে হাতের তালুতে রেখে গোল শেপ দিন। এবার বেলন চাকির উপর একটি পাতলা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের মধ্যে তেল বুলিয়ে ওখানে লেচিটি রাখুন। বেলনি দিয়ে আস্তে আস্তে বেলে নিন। খুব বেশি বড় বেলবেন না। এই চিল্লা একটু ছোট মাপের হবে। এবার চাটুতে ঘি বুলিয়ে ওর মধ্যে এই চিল্লা দিয়ে এপিঠ ওপিঠ খুব ভাল করে সেঁকে নিন। টকদইয়ের সঙ্গে এই চিল্লা পরিবেশন করুন। টকধি এর মধ্যে দিরে গুঁড়ো, লঙ্ককা গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন আর চিনি দিয়ে ফেটিয়ে নিন। এবার একবাটি টকদই দিয়ে এই চিল্লা খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই পেট ভরে থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। এই খাবারের কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।