স্লেজগাড়িতে চড়ে দোরগোড়ায় সান্তাক্লজ। আর মাত্র চারদিন। ২৪ ডিসেম্বর রাতেই হাজির হবে সান্তা, সঙ্গে থাকবে একগুচ্ছ উপহার। উপহার পেতে কার না ভাললাগে! ছোট থেকে বড় সকলেই অপেক্ষা করে থাকেন বড়দিনের কেকের জন্য। আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমাদের রাজ্যে যিশুর জন্মদিন পালনের এত ধুম ছিল না। এখন আগের রাত থেকে জমজমাটি পার্টি, পার্কস্ট্রিটের ভিড়, সারারাত মানুষ হেঁটে চলেছেন ভিড়ের মধ্যে, আলোর মালায় সাজানো রাজপথ আর তার সঙ্গে রকমারি সব খাবার। কেক, কুকিজ, পাফ, প্যাটি, কাবাব, চিকেন রোস্ট…চারিদিকে বেকিং এর গন্ধে ম ম করে। অনেকেই বাড়িতে এই সময় কেক-পাঁউরুটি বানান। গরম কেকের সুঘ্রাণে ভরে যায় চারিদক। এই সময় ক্যাফে রেস্তোরাঁও সেজে ওঠে লোভনীয় সব মেনুর সঙ্গে।
শীতের আমেজ গায়ে মেখে নতুন মেনুর সঙ্গে প্রস্তুত ক্যাফে 7th Heaven। গত পাঁচ বছর ধরে এখানকার কেকের স্বাদে বুঁদ হয়েছেন কলকাতাবাসী। ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে এদের বেকারি ইউনিট একাধিক স্বাদের কেক, লোফ নিয়ে এসেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে আপেল-দারুচিনি লোফ কেক, কলা-আখরোট ড্রাই কেক, চকোলেট-অরেঞ্জ কেক, খেজুর-গাজর লোফ কেক। আর এই সব কেকই স্বাদে হিট। দামও কিন্তু সাধ্যের মধ্যেই।
ফ্রেশ আপেলের সঙ্গে দারুচিনির সুঘ্রাণ খুব সুন্দর ভাবে ব্লেন্ড করা হয়েছে এই কেকে। প্রতিটি কামড়ে টের পাওয়া যায় সেই আপেলের স্বাদ
কলা-আখরোট আর শুকনো ফলের মিশ্রণে বেক করা এই ড্রাই কেক। পাকা কলার কেক যে এত সুস্বাদু হতে পারে তা এখানকার কলা-আখরোট ড্রাইকেকে কামড় না দিলে বুঝতেই পারতেন না।
চকোলেটের সঙ্গে অরেঞ্জের দারুণ একটা সংমিশ্রণ হয়। নরম চকোলেট আর কমলার জুস দিয়ে তৈরি বিশেষ চকোলেট অরেঞ্জ ড্রাই কেক। ক্রিসমাস স্পেশ্যাল রেড ওয়াইন বা কফির সঙ্গে এই কেক খেতে বেশ ভাল লাগে ।
খেজুর আর গাজরের সংমিশ্রণে তৈরি লোফ কেক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই স্বাস্থ্যকরও। খেজুরের মিষ্টি স্বাদ, গাজরের নির্যাস মিলেমিশে তৈরি হয় এই কেক।
কলকাতা 7th Heaven-এর কর্ণধার ঋষভ সাধুখান যেমন জানাচ্ছেন, ‘ক্রিসমাস আসলেই কেক নিয়ে আমরা অনেক রকম ভাবনাচিন্তা শুরু করি। এখন সকলেই ফিউশন পছন্দ করে। ফলে সেদিকে যেমন নজর থাকে তেমনই কেকগুলিকে কেমন আকৃতি দেওয়া যায়, কী ভাবে আরও বেশি বড়দিনের জন্য স্পেশ্যাল করে তোলা যায় সেইদিকে নজর থাকে’। এখানে সব রকম কাস্টমাইজড কেক পাওয়া যায়। আর তাই আর দেরী নয়, ক্রিসমাসের মৌতাত নিন এই বেকারির কাস্টমাইজড স্বাদে।