ডায়াবিটিসের (Diabetes) সমস্যা আজকাল ঘরে ঘরে। বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বসিয়েছে ডায়াবিটিস। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে ভুগছেন ডায়াবিটিসের সমস্যায়। মূলত টাইপ ২ ডায়াবিটিসে (Type 2 Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যাই বাড়ছে দিন দিন। রোজকার জীবনযাপনে পরিবর্তনই কিন্তু এই সমস্যার জন্য দায়ী। বেশিরভাগেই রোজকার রুটিনে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। সেই তুলনায় ওয়ার্ক আউট একেবারেই নেই। আর তাই রক্তে বাড়তে থাকে শর্করার পরিমাণ। এছাড়াও, হরমোন জনিত সমস্যা, কোলেস্টেরলের নানা সমস্যা এসবও লেগেই থাকে। যার প্রভাবও কিন্তু পড়ে শরীরে। যে কারণে প্রথমেই নজর দিতে হবে রোজকার ডায়েটে (Diabetes Diet)। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে চিনি,চাল, আলু, ময়দা এসব প্রথমেই বাদ পড়ে যায় ডায়েট থেকে। এছাড়াও তেল-মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুড এসবও কম খেতে বলা হয়। ফলে অনেকেই ভাবেন মুখরোচক খাবারের বোধহয় এখানেই ইতি। আর তাই ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য রইল কিছু স্বাস্থ্যকর মুখরোচক খাবারের হদিশ। এতে শরীর থাকবে সুস্থ আর গরমে শরীরের জন্যেও ভাল।
ব্রকোলি এবং ফুলকপি
ফুলকপির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট একেবারেই নেই। থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মূলত টাইপ ১ ডায়াবিটিসের জন্য কিন্তু এই ফুলকপি খুব ভাল। আর ফুলকপির সঙ্গে মাছ, পনির দিয়ে কোনও তরকারি বানিয়ে নিতে পারেন। ফুলকপির রাইসও বানিয়ে নিতে পারেন। এতে কিন্তু শরীর ভাল থাকবে।
ভাল ব্রেকফাস্ট
ব্রেকফাস্ট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর নিয়ম মেনে ব্রেকফাস্ট করলে কিন্তু শরীরের নানা উপকার হয়। চেষ্টা করুন যে কোনও রকম সিরিয়ালস রাখতে ব্রেকফাস্টে। ওটস, মুজলি এসব খান। এগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত চিনি থাকে না। থাকে ড্রাইফ্রুটস। এছাড়াও যে কোনও সিরিয়ালস কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর। গরমের দিনে টক দই, কলা, আপেল, সবেদা দিয়ে ওটস খেতে বেশ ভাল লাগে। এছাড়াও ঠান্ডা দুধ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ওটসের স্মুদি। এই স্মুদিও শরীরের জন্য ভীষণ ভাল।
স্যালাড
পছন্দের ফল, টকদই, মেয়োনিজ দিয়েও যেমন বানিয়ে নিতে পারেন স্যালাড তেমনই কিন্তু বিভিন্ন সবজি, ডিম সিদ্ধ আর চিকেনের টুকরো দিয়েও বানিয়ে নিতে পারবেন। স্যালাড সব সমময় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে যেমন খেতে ভাল লাগবে তেমনই কিন্তু তা স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী। যাঁরা ডায়াবিটিসে ভুগছেন তাঁরা রোজ একবাটি করে স্যালাড খান। পেট ঠান্ডা থাকবে।
বাদাম
বিভিন্ন রকম বাদাম বাদামের মধ্যে আমন্ড, আখরোট এসবই কিন্তু রাখুন। এছাড়াও চলতে পারে ব্রাজিল নাট। খিদে পেলেই একমুঠো করে বাদাম খান। বাদামের মধ্যে যেমন প্রয়োজনীয় খনিজ থাকে তেমনই কিন্তু থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও। স্ন্যাক্স হিসেবেই খান বাদাম।
বিভিন্ন ডাল
রোজকার মেনুতে একবাটি করে ডাল রাখতেই হবে। মুসুরের ডাল হলে সবথেকে ভাল। তা ছাড়াও অন্য ডাল খাওয়া যেতে পারে। ডালের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। প্রানীজ প্রোটিনের থেকেও উদ্ভিজ প্রোটিন ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।