গরমের দিনে বাজার বলতেই ঝিঙে, পটল, ঢ্যাঁড়শ। সকালে যদি ঝিঙে পোস্ত হয় তাহলে দিনের শেষে রুটির সঙ্গে আলু পটল ভাজি থাকবেই। দেখে মনে হবে এর বাইরে যেন মধ্যবিত্ত বাঙালি আর বেরোতে পারে না। কিন্তু রোজ রোজ এই খাবার খেতেও ভাল লাগে না। কিন্তু সবজি তো পাতে রাখতেই হবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি রাখলে এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিন্তু তা বলে একই তরকারি কেন খাবেন? ঢ্যাঁড়শের প্রসঙ্গ এলেই ঢ্যাঁড়শ সেদ্ধ তা না হলে আলু দিয়ে ঢ্যাঁড়শের তরকারি। এছাড়া খুব কম মানুষই ঢ্যাঁড়শ দিয়ে রকমারি রান্নায় মাতেন। তবে আপনি চাইলে এই ‘ফেলনা’ ঢ্যাঁড়শ দিয়ে রেঁধে ফেলতে পারেন একটি চমকপ্রদ পদ।
রাতে ডিনারের জন্য রেঁধে নিতে পারেন ঢ্যাঁড়শের দোরমা। ঢ্যাঁড়শের এই পদ রাঁধতে আপনার বাড়তি কোনও মশলার প্রয়োজন নেই। রান্নাঘরের সাধারণ মশলা দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারবেন এই পদ। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন ঢ্যাঁড়শের দোরমা।
ঢ্যাঁড়শের দোরমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
২৫০ গ্রাম ঢ্যাঁড়শ, ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ১ চা চামচ আদা বাটা, স্বাদমতো নুন, ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, ১/৪ কাপ তেল, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, ১/২ চা চামচ রসুন বাটা, ১/২ চা চামচ চিনি আর ১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো।
ঢ্যাঁড়শের দোরমা তৈরির পদ্ধতি:
ঢ্যাঁড়শের বোঁটা ফেলে দিয়ে দু টুকরো করে কেটে নিন। যদি ছোট ঢ্যাঁড়শ হয় তাহলে বোঁটাটা ফেলে দিন, কাটার প্রয়োজন নেই। এবার ঢ্যাঁড়শগুলোতে অল্প হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো ও নুন মাখিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। এবার একটা কড়াইতে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে এতে পেঁয়াজটা হালকা করে ভেজে নিন। হালকা বাদামি রঙ হওয়া অবধি পেঁয়াজটা ভেজে নিন। এর পর এতে লঙ্কা গুঁড়ো, রসুন বাটা, চিনি, আদা বাটা, স্বাদমতো নুন আর সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। মশলাটা ভাল করে ভেজে নিন। কড়াইতে তেল ছাড়তে শুরু করলে এতে এবার ভেজে রাখা ঢ্যাঁড়শগুলো দিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে দিন। ঢ্যাঁড়শ সেদ্ধ হয়ে গেলে, ঝোল মাখা মাখা হয়ে গেলে গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ব্যস তৈরি আপনার ঢ্যাঁড়শের দোরমা।