শরীরে যখন অতিরিক্ত মেদ জমতে শুরু করে তখন কিন্তু প্রথমেই প্রভাব পড়ে আমাদের পেটে। আর পেটের চর্বি কমানো সবথেকে কঠিন। ডায়েট, এক্সসারসাইজ শুরু করার পর অন্যান্য সব জায়গার চর্বি গললেও কিছুতেই পেটের মেদ ঝরতে চায় না। পরতে পরতে তা জমতেই থাকে। আর এই মেদই হল উদ্বেগের কারণ। ভুঁড়ি বাড়লে শরীরে ছেঁকে বসে যাবতীয় সমস্যা। ওজন বাড়ে, কোলেস্টেরল, সুগার, ট্রাইগ্লিসারাইড সবই বাড়তে থাকে একে একে। এছাড়াও এই ভিসারাল ফ্যাটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে হার্টের সমস্যাও। যদিও মহিলাদের ক্ষেত্রে নিতম্ব এবং পেট- এই দুটো অংশেই চর্বি বেশি জমে। তাই ভুঁড়ি বাড়লেই চিকিৎসকেরা প্রথমেই ওজন কমানোর পরামর্শ দেন। এছাড়াও যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করেন তাঁদের ক্ষেত্রেও মধ্যপ্রদেশে দ্রুত চর্বি জমে। পেটে মেদ জমলে শরীর যে কিছুটা কমজোরি হয়ে পড়ে তা কিন্তু আপনি নিজেও উপলব্ধি করতে পারবেন।
প্রথমত, হাঁটা চলায় সমস্যা হয়। অল্পেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। নীচে কোনও ভাবেই বসা যায় না। খাবার ঠিকমতো হজম হতে চায় না। এছাড়াও টাইপ ২ ডায়াবিট্স, ফ্যাটি লিভার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকখানি।
পেটে চর্বি জমলে কোশের একটা স্তরের উপর আরেকটা স্তর তৈরি হয়। যে কারণে ইনসুলিনও ঠিকমতো ক্ষরণ হতে পারে না। যে কোনও ব্যথার সমস্যা বাড়ে। লিভারের কোশগুলি তখন সহজে কোশ থেকে ইনসুলিন গ্রহণ করতে পারে না। যার ফলে ইনসুলিন জমতে থাকে এবং খুবই উচ্চ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা থাকে।
আর তাই মেদ ঝরাতে হলে প্রথমেই কিন্তু নজর দিতে হবে রোজকার জীবনযাত্রায়। জীবনযাত্রায় আনুন পরিবর্তন। সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চাও জরুরি। অতিরিক্ত ফ্যাট না খাওয়া, কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া এসব মেনে চলুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস করুন। এছাড়াও…
রোজ সকালে মেথি আর জিরে ভেজানো জল খান। আগের রাতে এক গ্লাস জলে তা ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ছেঁকে খেয়ে নিন।
এছাড়াও আদা জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। এবার সেই জলে চিয়া সিডস ভিজিয়ে খান। চাইলে লেবুর রসও দিতে পারেন।
ভাত একেবারে না খেতে পারলেই ভাল। আলু, চিনি এসবও কিন্তু বাদ রাখুন তালিকা থেকে।
ওটসের তৈরি রুটি খেতে পারেন। দুধের পরিবর্তে আমন্ডের মিল্ক খান। এতে ক্যালোরি কম থাকে। এছাড়াও খেতে পারেন সবজি, সোয়াবিন দিয়ে ওটস বা ডালিয়ার খিচুড়ি। এতে ফাইবার বেশি থাকে। শরীর প্রোটিন পায়। ফ্যাট একেবারেই থাকে না।
খাবার মাঝে অতিরিক্ত গ্যাপ দেবেন না, কিংবা খালি পেটে থাকবেন না। এতে কিন্তু সমস্যা অনেক বেশি হয়। মনে রাখবেন যাবতীয় রোগের আঁতুড় ঘর হল ভুঁড়িয তাই যত দ্রুত সম্ভব ভুঁড়ি কমিয়ে ফেলুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।