আজকাল সুপারফুডের খুব চল হয়েছে। এমন কিছু খাবার আছে যে গুলিকে পুষ্টিবিদরা সুফারফুডের আখ্যা দিয়েছেন। আর এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে নানা রকম বাদাম ও বীজ। নিয়মিত ভাবে এই সব সুপারফুড খেতে পারলে শরীরের একাধিক কাজে লাগে। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে এই সব বীজের জুড়ি মেলা ভার। একই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতেও কার্যকরী হল শুকনো ফল। রোজ তাই এই ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রচুর খেলে হবে না, মেপে খেতে হবে। সম্প্রতি পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে এই ড্রাই ফ্রুটসের উপকারিতার কথা বলেছেন। তবে বাদাম ভিজিয়ে খেলে কিন্তু তার উপকারিতা সবচাইতে বেশি। পুষ্টিবিদদের মতে ভেজানো বাদামের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। দেখে নিন কোন কোন ফল ভিজিয়ে খেলে উপকার সবচাইতে বেশি।
বাদাম– রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে একমুঠো ভেজানো বাদাম খাওয়া মানুষের অনেকদিনের অভ্যাস। এখনও অনেকে রোজ কাঁচা ছোলা, বাদাম ভিজিয়ে খান। সঙ্গে থাকে একটুকরো গুড়। ইদানিং আমন্ড খাওয়ার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই আমন্ড ভিজিয়ে খেতে পারলেই সবচাইতে ভাল। বাদাম ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ৬ এর খুব ভাল উৎস। সেই সঙ্গে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। ৫-৭ টি বাদাম রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খোসা ছাড়িয়ে খান।
কিশমিশ- কালো কিশমিশ আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। কিশমিশের মধ্যে থাকে পলিফেনল, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর তাই পাইলসের সমস্যা এড়াতে রোজ খান এই কিশমিশ।
ডুমুর- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে ডুমুর। আজকাল আঞ্জির নামেই তা বাজারে বিক্রি হয়। শুকনো এই ফল কিনে এনে আগের রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে নিয়ে খান। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের অন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রাকতিক উপায়ে পেট পরিষ্কার করতে এই ডুমুরের কোনও জুড়ি নেই।
আখরোট- আমন্ডের মতই আখরোট শরীরের জন্য খুব ভাল। হাফ কাপ জলে আগের রাতে আখরোট ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা খেলে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ে, স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। একাগ্রতা বাড়াতেও কাজ করে আখরোট। শিশুদের মন ভাল রাখতে এবং বুদ্ধির বিকাশে রোজ খেতে দিন আখরোট।