শীত মানেই বাজার ভর্তি তাজা সবজি। এই মরশুমেই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় বিট, গাজর, কপির মতো আনাজ। তাই বাড়িতে ডেজার্ট হিসেবে প্রায় দিনই গাজরের হালুয়া তৈরি হয়। তবে এই শীতে আপনি গাজরের হালুয়ার বদলে বিটের হালুয়া বানিয়ে নিতে পারেন। বিটেরও বিশেষ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই সবজি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীরাও বিট খেতে পারেন। এছাড়াও এই সবজি হজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। বিটের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
হালুয়া তৈরি করতে গেলেই চিনির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু চিনি মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। চিনি দিয়ে বিটের হালুয়া তৈরি করলে তা আর স্বাস্থ্যকর থাকবে না। তাই আপনি চিনির বদলে গুড় দিয়ে বিটের হালুয়া বানিয়ে নিতে পারেন। শীত মানেই গুড়। এই মরশুমে ভাল গুড় পাওয়া যায়। তাই হালুয়া তৈরির জন্য চিনির বদলে গুড় বানিয়ে নিন। তাছাড়া বিটরুটের হালুয়া তৈরি করতে বেশি সময়ও লাগে না। তাই দেখে নিন বিটের হালুয়ার রেসিপি…
বিটরুটের হালুয়া তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
২ কাপ বিট গ্রেট করে রাখা, ২ কাপ দুধ, ২ চা চামচ ঘি, ১ চা চামচ জাগেরি পাউডার, ২ চা চামচ গুড়, গার্নিশের জন্য আমন্ড ও পেস্তার কুচি।
বিটরুটের হালুয়া তৈরি করার সহজ পদ্ধতি:
মাঝারি আঁচে প্যান গরম বসান। এতে কুচি করা বিট দিয়ে দিন। এবার এতে ২ কাপ দুধ ঢেলে দিন। দুধ দেওয়ার পর মিশ্রণটা ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। দুধের সঙ্গে বিট পুরোপুরি মিশে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকতে থাকুন। দুধের মধ্যে বিট সেদ্ধ হয়ে গেলে এবার এতে জাগেরি পাউডার দিয়ে দিন। ক্রমাগত মিশ্রণটা নাড়তে থাকবেন। এবার এতে ঘি দিয়ে দিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে এবার এতে খেজুরের গুড় ঢেলে দিন। তাহলেই তৈরি বিটরুটের হালুয়া।
বিটরুটের হালুয়া আরও সুস্বাদু করতে এতে ক্ষীর দিতে পারেন। গুড়ের সঙ্গে ক্ষীর মিশিয়ে দিলে এই হালুয়া আরও সুস্বাদু হবে। এছাড়াও এতে আপনি ১/২ কাপ নারকেল কুড়ো দিতে পারেন। এতে বিটরুটের হালুয়া আরও ভাল খেতে পারেন। হালুয়া তৈরি হয়ে গেলে এর উপর দিয়ে আমন্ড ও পেস্তার কুচি ছড়িয়ে দিন। শীতের রাতে আপনি ডেজার্টে বানিয়ে নিতে পারেন বিটরুটের এই পদ।