পোলাও খেতে কার না ভাললাগে। ঘি, কাজু, কিশমিশ মাখা মিষ্টি পোলাওয়ের স্বাদই হয় আলাদা। অনেকের পছন্দ বাদশাহী পোলাও। এই পোলাওয়ের সঙ্গে চিকেন কিংবা মটন হলেই জমে যায় খাওয়া-দাওয়া। তবে যাঁরা ডায়েট করছেন বা যাঁদের শারীরিক কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু এই মিষ্টি পোলাও এড়িয়ে যান। চেখে দেখার ইচ্ছে থাকলেও বাধ সাধে শরীর। আর তাই বানিয়ে নিতে পারেন মিষ্টি গোলাপি পোলাও। তবে এই পোলাও বানাতে অতিরিক্ত চিনি কিংবা ঘি কোনওটাই লাগে না। বাড়িতে বেদানা, জাফরান আর সামান্য দুধ থাকলেই কাজ চলে যায়। দুধ দিয়ে বানানো হয় বলে খেতেও বেশ হয়। সেই সঙ্গে এই পোলাওয়ের অনেক কটা উপকারিতা রয়েছে। তবে মাছ কিংবা মাংস নয়, নিরামিষ আলুর দম বা ছানার কোপ্তার সঙ্গেই এই সুন্দরী গোলাপী পোলাও খেতে সবচাইতে ভাল লাগে।
বেদানার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বেদানা খেলে হাতও লাল হয়ে যায়- যে কারণে অনেকে একে স্বর্গেরও ফলও বলে থাকেন। জন্মস্থান ইরান হলেও উর্বরতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেই এই ফলের খ্যাতি রয়েছে। বেদানার মধ্যে থাকে ক্রিপ্টোনাইট। আর যা এই ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বেদানার মধ্যে। বিশেষত প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে বেদানার রস। হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যদি রোজ খেতে পারেন বেদানার রস। বেদানার মধ্যে থাকে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও ফাইটোকেমিক্যালস- যা আমাদের ত্বকের জন্য ভাল।
দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন এই বেদানার পেলাও বা পিংক পোলাও
উপকরণ
বেদানা- ১ বাটি
দুধ- ১ কাপ
জাফরান
জাল- ৪০০ গ্রাম
কাজু, কিশমিশ- ১০-১২ টা
স্বাদমতো নুন, চিনি
পেঁয়াজ স্লাইস – ১ বাটি
যে ভাবে বানাবেন
কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা আর গোলমরিচ দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এবার এর মধ্যে পছন্দের সবজি, পেস্তা, আমন্ড দিয়ে নেড়ে নিন। এবার ওর মধ্যে রাইস দিয়ে নেড়ে নিন। দুধে আগে থেকে সামান্য জাফরান দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। চাল নেড়ে চেড়ে দুধ মিশিয়ে ফুটতে দিন। বেদানা মিশিয়ে নিন। চাল সিদ্ধ হলে গ্যাস অফ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ২০ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই পোলাও। গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।