গরমকাল মানেই একরাশ অস্বস্তি ও বিরক্তি। পাখার তলায় বসে থাকলেও ঘাম। আর রাস্তায় বেরোলে ঘেমেনেয়ে একশা অবস্থা হয়। ঘামকে আটকানোরও কোনও উপায় নেই। যদিও এই প্যাচপ্যাচে ঘাম আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী। ঘাম হিসেবে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ও মিনারেল বেরিয়ে যায়। তাছাড়া ঘাম ত্বকের উপরিতলকে শীতল রাখে। কিন্তু যখন ঘাম ত্বকে উপর থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে, তখনই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এটা আরও বিরক্তিকর পরিস্থিতি।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অনেকেই সুগন্ধি প্রসাধনী ব্যবহার করেন। সাময়িকভাবে পারফিউম, বডি স্প্রে কাজে আসলেও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। মূলত ব্যাকটেরিয়ার কারণেই ঘামে দুর্গন্ধ ছাড়ে। তাই সুগন্ধি দিয়ে গন্ধ তাড়ালে চলবে না। ঘর্মগ্রন্থির কার্যকারিতাও বন্ধ করা যাবে না। আপনাকে ব্যাকটেরিয়াকে তাড়াতে হবে। আর এই কাজটা আপনি ঘরোয়া উপায়ে করতে পারেন। জলে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এতে সারাদিন তরতাজা থাকবেন। এছাড়া আরও ৩টি উপায় রয়েছে, গরমকালে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার।
নারকেল তেল: সাধারণত ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয় নারকেল তেল। যদিও রূপচর্চায় নারকেল তেল কদর বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীতকালে নারকেল তেল ব্যবহার হয়। গরমেও গায়ে নারকেল তেল মাখতে পারেন। স্নানের পর নারকেল মেখে নিন। এতে ত্বক ময়েশ্চারাইজ থাকবে এবং দাগহীন হয়ে উঠবে। তার সঙ্গে ঘামের দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি পাবেন।
টমেটোর রস: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টমেটোর রস ব্যবহার করা হয় ট্যান তুলতে। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও এই উপাদান কার্যকরী। টমেটোর মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। টমেটো রস নিয়ম করে খেলে ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়। আন্ডারআর্মসে টমেটোর রস মাখতেও পারেন। এতে দাগছোপ দূর হয়ে যাবে।
বেকিং সোডা: গায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। স্নানের জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘাম হলেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছাড়বে না। এছাড়া আন্ডারআর্মসে বেকিং সোডার পেস্ট লাগাতে পারেন। এতে আন্ডারআর্মসের কালো ছোপ পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাশাপাশি দুর্গন্ধও বেরোবে না।