মুঠোভর্তি ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না। বেশিরভাগ অফিসেই আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম সুবিধা নেই। তবু, ল্যাপটপ থেকে চোখ সরানোর জো নেই। এছাড়া ফোন হাতে নিয়ে রিলস দেখা শুরু করলে রাত ১১টা থেকে ১২টা বেজে যায়। স্ক্রিন টাইম একাধিক সমস্যা ডেকে আনে। তার মধ্যে ত্বকও রয়েছে। বিশেষত, আপনার চওড়া ডার্ক সার্কেলের পিছনে দায়ী স্ক্রিন টাইম। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট—সব গ্যাজেটই ত্বকের ক্ষতি করে। আর যখন ডার্ক সার্কেলের সমস্যা বাড়ে, তখন বুঝে উঠতে পারেন না যে কী করবেন।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে যে নীল আলো নির্গত হয়, তা ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। এর জেরে ত্বকে থাকা কোলাজেন নামের প্রোটিন ভাঙতে শুরু করে। তখনই দেখা দেয় ডার্ক সার্কেল, রিংকেলসের সমস্যা। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, আপনার স্ক্রিন টাইমই ত্বকের ক্ষয় বাড়িয়ে তুলছে। স্ক্রিন টাইম কমালে অবশ্যই আপনি ডার্ক সার্কেল ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা কমাতে পারবেন। কিন্তু রোজকার জীবনে মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশনের থেকে দূরে থাকা যায় না। কিন্তু ডার্ক সার্কেলকে দূর করতেই হবে। এখানে আপনাকে মানতে হবে কয়েকটি টিপস ও ঘরোয়া টোটকা।
১) ডার্ক সার্কেল কমাতে হলে রাতে গভীর ঘুম দরকার। অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম দরকার। পাশাপাশি ঘুমোতে যাওয়ার ৪০ মিনিট আগে চোখের চারপাশে আই ক্রিম লাগান।
২) অন্ধকারের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করুন।
৩) ডার্ক সার্কেল দূর করতে সহায়ক আমন্ড অয়েল। চোখের চারপাশে ২ ফোঁটা আমন্ড অয়েল মালিশ করুন। এরপর মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। এরপর ভিজে কাপড় দিয়ে মুখ মুছে নিন। প্রতিদিন এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
৪) ডার্ক সার্কেল দূর করতে কার্যকর শসা। চোখের উপর দু’কুচি শসা রেখে রেখুন। ১৫ মিনিট রেখে শসা সরিয়ে দিন। চাইলে চোখের চারপাশে শসার রসও লাগাতে পারেন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট রাখে।
৫) হাতের কাছে কোনও সমাধান না পেলে, গোলাপ জল ব্যবহার করুন। গোলাপ জল ত্বকে তাৎক্ষণিক সতেজতা এনে দেয়। চোখের চারপাশে ১৫ মিনিট গোলাপ জল লাগিয়ে রাখুন। এই টোটকা প্রতিদিন মেনে চললে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।