মিউজিক দুনিয়ায় শোকের আবহ। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি তবলাবাদক উস্তাদ জাকির হুসেন। এ যেন তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আশ্চর্য ক্ষমতা। তবলায় মুগ্ধ করেছেন সারা বিশ্বকে। খুব অল্প বয়স থেকেই তবলায় হাতেখড়ি। এর কারণ, তাঁর বাবা উস্তাদ আল্লা রাখা। একটি সাক্ষাৎকারে উস্তাদ জাকির হুসেন মায়ের কাছে শোনা একটি ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন। তাঁকে যখন প্রথমবার বাবা আশীর্বাদ করেন, কানের কাছে মুখ এনে তবলার ছন্দ শুনিয়েছিলেন। সেটিই ছিল তাঁকে দেওয়া প্রথম মন্ত্র। আর পরবর্তীতে তিনি উস্তাদও হয়ে উঠেছেন। কিংবদন্তি জাকির হুসেনের প্রথম উপার্জন ১২ বছরেই। তার আগে থেকেই অবশ্য কনসার্টে যেতেন। পেশাদার কনসার্ট থেকে প্রথম আয়ের কথাও সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন…।
‘সেই টাকাতে যথেষ্ট গুলাব জামুন কেনা যেত…’ , টকস অ্যাট গুগল ইভেন্টে এমনটাই বলেছিলেন উস্তাদ জাকির হুসেন। মাত্র সাত বছর থেকেই স্কুলের পাশাপাশি অনেক শ্রোতার সামনেই কনসার্ট করেছেন জাকির হুসেন। তবে ভারতে প্রথম পেশাদার কনসার্ট ১২ বছরে। আর সেই ইভেন্ট থেকে ১০০ টাকা উপার্জন করেছিলেন উস্তাদ জাকির হুসেন।
ছোট্ট বেলায় বাবার সেই প্রার্থনা যে সাফল্যের বীজ বুনে দিয়েছিল, বলার অপেক্ষা রাখে না। জাকির হুসেন আরও বলেছিলেন, ‘বাড়িতে তবলা না থাকলে প্রচণ্ড অস্বস্তি হত। মায়ের থেকে যে কোনও বাসন লুকিয়ে নিয়ে নিতাম। সেটাতেই সুর তুলতাম। এমনকি অনেক সময় সেই পাত্রে হয়তো খাবারও থাকতো।’ তবলা তাঁর কাছে শুধুই একটা বাদ্যযন্ত্র ছিল না। বরং এটাকে প্রথম ভালোবাসা বানিয়ে নিয়েছিলেন। আর সারা বিশ্ব তাঁর ভালোবাসায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে রয়েছেন।