বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ক্ষমতায় পড়ে তার প্রভাব। শরীর খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্তি হয়ে পড়ে। দুর্বল লাগে। একাধিক রোগ ঘিরে ধরে। আর সেই সকল রোগের কারণে বয়স বাড়লে শরীরের শক্তির মাত্রাও কমতে থাকে। বিশেষ করে, যাঁদের বয়স ৫০ বছরের কাছাকাছি, তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশি করে যত্নশীল হতে হবে। যদি আপনার বয়স ৫০ বছর, তা হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই অবস্থায় ১০ বছর পর আপনি সিনিয়র সিটিজেনের আওতায় পড়বেন। কিন্তু সেই সময়ও অফুরান শক্তি চাইলে মানুন বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন।
সিনিয়র সিটিজেন হতে ১০ বছর দেরি, শক্তসামর্থ থাকবেন কোন উপায়ে? রইল বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিকেল ইন্সটিটিউট অব দিল্লির ডক্টর অরবিন্দ আগরওয়াল (সিনিয়র কনসালটেন্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন) জানিয়েছেন যে, যদি এই বয়সে আপনি স্বাস্থ্যের যত্ন নেন, তা হলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন। এই বয়সে, যে কোনও ব্যক্তিকে কিছু খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। ৫০ বছর বয়সেও শক্তিশালী থাকতে কোন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানা দরকার, সেই সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক…
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রথমত, নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাসকে জীবনযাত্রার একটা বিশেষ অংশ করে নিতে হবে। এই বয়সে, একজন ব্যক্তির শরীর বিশ্রাম চায়। যার ফলে ৫০ বছরের ব্যক্তিরা ব্যায়াম এড়াতে শুরু করেন। কিন্তু এমনটা করার ফলে তাঁর শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। নিয়মিত হাঁটতে পারেন। আর হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
ডায়েটে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি
এই বয়সে ফিট থাকার জন্য আপনাকে সুষম খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ডায়েটে তাজা ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিনের মতো একাধিক জিনিস যোগ করতে হবে। বাইরের খাবার এ বয়সে খাওয়া ঠিক নয়। প্যাকেটজাত খাবার খাবেন না। ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
পর্যাপ্ত ঘুম খুবই প্রয়োজন
ব্যায়াম ও ডায়েটে মন দেওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম এ বয়সের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। এই বয়সে ফিট থাকতে হলে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। স্ট্রেস শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তির মানসিক সমস্যাই বাড়ায় না, একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। এই পরিস্থিতিতে যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন করা উচিত।
কোনও ব্যক্তির ৫০ বছর বয়স হলে নিয়মিত হেলথ চেক আপ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময় সময় অন্তর একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর নির্দেশ অনুসারে নিজের লাইফস্টাইলে বদল আনতে পারেন। তা হলেই ৫০এও পাবেন অফুরান শক্তি, থাকবেন সুস্থও।