দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য রোদে দাঁড়াতেই হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়ানো যায় না। তার উপর ট্যান পড়ে যায়। তাছাড়া সেপ্টেম্বরে রোদে যা তেজ, তাতে ত্বক পুড়তে বাধ্য। সমস্যা হয় ট্যান তুলতে। ট্যান তুলতে কালঘাম ছুটে যায়। ইউভি রশ্মি ত্বকের সংস্পর্শে এসে মেলানিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এর জেরেই ত্বক কালো দেখায়। এই ট্যান তুলতে অনেকেই ট্যান রিমুভার প্যাক ব্যবহার করেন। আবার কেউ টক দই-টমেটোর মতো উপাদান ব্যবহার করেন। অনেক সময় কাজ হয়, আবার অনেক সময় হয় না। কিন্তু আটা মাখলে ট্যান উঠতে বাধ্য। শুনে অবাক লাগছে? আটা কিন্তু ত্বকের দেখভালে দুর্দান্ত কাজ করে।
আটার মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে। এটি ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে পুনরুদ্ধার করে তোলে। আটার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ স্বাস্থ্যকর ত্বক গঠনে এবং ত্বকের টেক্সচার উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া জিঙ্ক ত্বকের প্রদাহ কমায়, ক্ষতকে দ্রুত সারিয়ে তোলে। সুতরাং, মুখে আটা মাখলে আপনার ত্বকের জন্যই ভাল।
ট্যান তুলতে কীভাবে আটা ব্যবহার করবেন?
২ চামচ আটায় জল পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে ভাল করে মেখে নিন। এরপর ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকনো হয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২-৩ বার মাখলেই ত্বক থেকে সমস্ত ট্যান উঠে যাবে।
আটার সঙ্গে আর যে সব উপাদান মেশাতে পারেন-
আটার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়েও ফেসপ্যাক বানাতে পারেন। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে কাজ করে।
আটায় হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। হলুদ মিশিয়ে আটার ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ট্যানও উঠবে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হবে।
আটার সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখলে ট্যান ও ত্বকের ক্ষত সহজেই এড়াতে পারেন। পাশাপাশি ত্বক মসৃণ হয়ে উঠবে।
টক দইয়ের সঙ্গে আটা মিশিয়ে মুখ মাখতে পারেন। এতে ত্বক এক্সফোলিয়েট হয়ে যাবে এবং ট্যানও উঠে যাবে।