অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতেই প্রায় সাড়ে ৯টা বেজে যায়। তারপর হাত-পা ধুয়ে ফ্রেশ হতে হতেই বেজে যায় সাড়ে দশটা। সঙ্গে সঙ্গে কি আর কাজ করতে ইচ্ছা করে। তাই এক কাপ চা নিয়ে একটু মোবাইল ঘাটেন। সঙ্গে বসে বসে একটু জিরিয়ে নেন। এবার উঠে রান্না করে খেতে খেতে বসতেই ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বেজে গিয়েছে। আবার অনেকেই অফিস থেকে ফিরে জিমে যান। ব্যস তারপর আবার বাড়ি ফিরে সব কিছু করে খেতে বসতে বসতে সেই সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা বেজেই যায়। মোট কথা হল, রোজের কাজ সামলে খাওয়া দাওয়া সারতে সারতে রাত হয়েই যায়। তবে এই অভ্যাসের ফলেই কিন্তু বারোটা বাজছে আপনার শরীরেরও। বিজ্ঞান বলছে রাত ৯টার পর থেকেই আমাদের শরীরের সব কলকব্জা আস্তে আস্তে শিথিল হতে শুরু করে। ঠিক সেই কারণে শরীরে যথা সময়ে খাওয়ার জোগান না পেলে নানা ক্ষতি হতে পারে। জানেন সেগুলি কী কী?
১) দেরি করে খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে রাতে দেরি করে ঘুমোতে যাওয়ারও যোগ রয়েছে। আর দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম সম্পূর্ণ না হওয়া কিন্তু মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদের কারণ হতে পারে।
২) রাতে অনেকেই ভারী খাবার খান। বিরিয়ানি, চাউমিন, ভাত-মাংসের মতো ভারী খাবার মাঝরাতে খেলে সেই খাবার মোটেও হজম হতে চায় না। সারা বছর ধরে গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগার অন্যতম কারণ কিন্তু রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস। রাতে যত হালকা খাবার খাওয়া যায়, ততই ভাল।
৩) রাত যত বাড়ে ততই শরীরের বিপাকহার কমে যায়। ফলে শরীরে ক্যালোরির দহন কমে যায়। সেই সময় বেশি করে ক্যালোরি গ্রহণ করলে সেই সব ক্যালরি ফ্যাট হয়ে শরীরের আনাচকানাচে জমতে শুরু করে। আর এই কারণেই বেড়ে যায় ওজন।
৪) রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া হৃদ্রোগও ডেকে আনতে পারে এই অভ্যাস।