ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিন শেষ। না চাইতেও এখন কাজে বেরোতে হচ্ছে। রাস্তার ধুলো, দূষণে চুলের বেহাল দশা হয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে বৃষ্টির জল রয়েছে। তাই রোজ শ্যাম্পু না করলে চুলের হাল ফেরানো যাচ্ছে না। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ যে, রোজ বা ঘন ঘন শ্যাম্পু করার ফলে চুলের জেল্লা হারিয়ে যাচ্ছে। উজ্জ্বলতার পাশাপাশি চুলের হাজারো একটা সমস্যা রয়েছে। সেগুলোও দূর করা যাচ্ছে না শ্যাম্পু করার মাধ্যমে। সুতরাং, উপায় কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা চুলের জন্য মোটেও ভাল নয়। সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করা উচিত। তাও এটা নির্ভর করছে আপনার লাইফস্টাইলের উপর। যেমন ধরুন, আপনি প্রতিদিন জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান বা প্রচণ্ড ঘাম হয়, তখন দু’দিন অন্তর শ্যাম্পু করুন। তবে এমন কোনও নিয়ম যে আপনাকে প্রতি ৪৮-৭২ ঘণ্টা অন্তর শ্যাম্পু করতেই হবে। যদি আপনার স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয়ে যায়, চুলকানি হতে থাকে তাহলে শ্যাম্পু করে নিন। এছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন বাইরে যান, ধুলো-মাটির সংস্পর্শে আসেন, তাহলে একদিন অন্তর শ্যাম্পু করুন।
শ্যাম্পু আপনি ২-৩ দিন অন্তর করতে পারেন। কিন্তু কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন এবং সঠিক উপায়ে শ্যাম্পু করছেন কি না, তা খেয়াল রাখা দরকার। আপনার শ্যাম্পু সালফেট মুক্ত হওয়া উচিত। অন্যথায়, চুল অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যাবে। সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনি ২-৩দিন অন্তর চুল ধুতে পারেন। এছাড়া ঘন ঘন শ্যাম্পু পরিবর্তন করবেন না। ভুল শ্যাম্পু বাচাইয়ের কারণে চুলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলের সমস্যা, চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বেছে নিন। অন্যথায়, আপনি শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুলের সমস্যা রুখতে পারবেন না।
অনেকেই শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল মাখেন। শ্যাম্পু করার সময় খেয়াল রাখবেন যে, সমস্ত তেল যেন পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে, স্ক্যাল্পে খুব বেশি চাপ দেবেন না কিংবা জোরে ঘষবেন না। শ্যাম্পু করার সময় গরম জল ব্যবহার করবেন না। গরম জল চুলের যাবতীয় আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। এতে চুলে ফ্রিজিনেসের সমস্যা বাড়ে। সবসময় ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধোয়া উচিত।
এছাড়া চুল ধোয়ার পর ভিজে তোয়ালে ব্যবহার করবেন না চুল মুছতে। শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভিজে চুল মুছে নিন। ভিজে চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। পাশাপাশি চুল শুকনো করতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত হিট প্রয়োগের কারণে চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।