গরমে যতই মুখ থেকে তেল বের হোক, সানস্ক্রিন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখা যাবে না। অনেকেই অভিযোগ করেন যে, সানস্ক্রিন মাখলে বেশ ঘাম হয়। কিন্তু সানস্ক্রিন না মাখলে যে ত্বকের আরও বেশি ক্ষতি হয়, তা কি জানেন? সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। সানস্ক্রিন ত্বকের উপর ঢাল বা সুরক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে। যে কারণে গ্রীষ্মকালের পাশাপাশি বর্ষা ও শীতকালেও সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত এসপিএফ দেখে। ১৫ থেকে শুরু করে ১০০ পর্যন্ত এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন বাজারে পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে রোদের যে তেজ, তাতে এসপিএফ ৩০ কিংবা ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এসপিএফ-এর মাত্রা যত বেশি হবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে। এসপিএফ ৩০ কিংবা ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করে।
কিন্তু বাজারে সানস্ক্রিনের দাম আকাশছোঁয়া। ভাল ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনতে গেলে আপনাকে কম করে ৪০০ টাকা খসাতে হবে। আর যেহেতু এই প্রসাধনী রোজ ব্যবহার করতে হয়, তাই এক মাসও চলে একটা সানস্ক্রিন। এই অবস্থায় আপনি বাড়িতেই এসপিএফ সানস্ক্রিন বানিয়ে নিতে পারবেন। সেই টিপসই রইল আপনার জন্য।
বাড়িতে সানস্ক্রিন বানাবেন যে উপায়ে-
উপকরণ: ১/২ কাপ নারকেল তেল, ১/২ কাপ শিয়া বাটার, ২ টেবিল চামচ জিঙ্ক অক্সাইড, ১ টেবিল চামচ মোম, ২-৩ ফোঁটা জোজোবা অয়েল, ইউক্যালিপ্টাস অয়েল, ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ও ভিটামিন ই অয়েল।
পদ্ধতি: প্রথমে বড় একটি কাচের বাটিতে জল নিয়ে তার মধ্যে ছোট বাটি বসিয়ে দিন। এর এই ছোট বাটির মধ্যে নারকেল তেল, শিয়া বাটার, জোজোবা অয়েল এবং মোম একসঙ্গে গলিয়ে নিন। এরপর এতে জিঙ্ক অক্সাইড মেশান। এই উপকরণগুলো একে-অপরের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিশে যাওয়া পর্যন্ত মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন। এরপর এতে সমস্ত এসেনশিয়াল অয়েলগুলো ২ ফোঁটা করে মিশিয়ে দিন। এবার মিশ্রণটি ঘরের তাপমাত্রায় এলে ফেটিয়ে নিন। তৈরি সানস্ক্রিন। এটি কাচের শিশিতে ভরে সংরক্ষণ করুন। আলো আসে না এমন জায়গায় এটি রাখবেন। রোদে বেরোনোর আগে মেখে নিন হোমমেড সানস্ক্রিন।